শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

আলোচিত শাজনীন হত্যাকাণ্ড, শহীদুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ 

আলোচিত শাজনীন হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত পৌনে ১০টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফাঁসি কার্যকরের পর শহীদুলের মরদেহ গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলায় তাঁর নিজ বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে শহীদুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। নির্দেশ পাওয়া মাত্র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন রাজু জল্লাদ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল নিজ বাড়িতে নিহত হন শাজনীন তাসনিম রহমান। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের মেয়ে। শাজনীন তখন স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম গ্রেডের ছাত্রী ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন শহীদুল। কিন্তু তা খারিজ হওয়ায় কারাবিধি অনুযায়ী আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়।

শহীদুল ছিলেন শাজনীনদের বাড়ির পরিচারক। শাজনীন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমত উল্লাহ রায় দেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুন এবং সহযোগিতার দায়ে শাজনীনদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, হাসানের সহকারী বাদল, শাজনীনদের বাড়ির পরিচারক শহীদুল, কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল এবং গৃহপরিচারিকা এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও তাঁর পারভীনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) ওই বছরই মামলাটি হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিলও করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৬ সালের ১০ জুলাই আসামি হাসান, শহীদুল, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। অপর আসামি শনিরাম মণ্ডল খালাস পান।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ওই চার আসামিকে আপিলের অনুমতি দেন। অপর আসামি শহীদুল পরে জেল আপিল করেন। এর সাত বছর পর ২০১৬ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে চার আসামির মধ্যে শহীদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয় এবং অপর চারজন খালাস পান। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৫ মার্চ শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

চূড়ান্ত বিচারেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকায় শহীদুল নিয়ম অনুযায়ী নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি খারিজ হওয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় এবং আসামি শহিদুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। এরপরই কারাবিধি অনুযায়ী শহীদুলের মৃত্যুদণ্ডের রায় আজ রাতে কার্যকর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451