অনলাইন ডেস্কঃ
ছিলেন টিভি উপস্থাপক। সেখান থেকে হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ী নেতা। এরপরে নগরপিতা। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পান তিনি।
এর আগে আনিসুল হকের পরিচিতি ছিল ব্যবসায়ী নেতা হিসেবেই।৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা এ নেতাকে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেয়াটা বেশ চমক ছিল।
মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিসুল হক নিজের হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, তার নিজের কোনো গাড়ি কিংবা বাড়ি নেই; যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার খোরাক যুগিয়েছিল।
অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আনিসুল হক গেলো শতকের ’৮০ ও ’৯০ এর দশকে টিভি উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনও করেছিলেন তিনি। সে সময় তিনি পেয়েছিলেন দারুণ জনপ্রিয়তা।
২০০৫-০৬ সালে বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ২০০৮ সালে তিনি হন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি।নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে আনিসুল হক রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ‘স্মার্ট’ নগরী হিসাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দায়িত্ব নেয়ার পরই শুরু করেছিলেন সমাধান যাত্রা।
বারবার বাধাপ্রাপ্ত হলেও রাজধানীর অনেকাংশই বদলাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আনিসুল হক যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় ৪ টা ২৩ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে (মস্তিষ্কের রক্তনালির এক ধরনের প্রদাহ) আক্রান্ত হয়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।এ বছরের ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে গেলো ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।