জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম থেকে :
দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দি জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী আজ মুক্ত জীবনের প্রথম বর্ষপূর্তি মুক্তিদিবস হিসেবে পালন করছে। ১লা আগস্ট দিনটি উদ্যাপনের জন্য তারা ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। আজ রাত ১২টা ০১মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে তাদের এই বর্ষপূর্তির কর্মসূচী শুরু করে। কর্মসূচীকে সফল করতে বাংলাদেশের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহাল বিনিময় সমন্বয় কমিটি আন্দোলনের সাবেক নেতারা এসব কর্মসূচীর তদারকি করছেন। সেই সাথে যোগ দিচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের অন্তর্গত জেলা, উপজেলা প্রসাসনের লোকজন, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের ১১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে কুড়িগ্রামের দাশিয়ার ছড়ায় প্রথম মুক্তি দিবসের রাত ১২টা ০১মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা। বড় মশাল জ্বালিয়ে অন্ধকারচ্ছন্ন জীবন থেকে আলোকিত জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ঘোষনা করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রাধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্র নাথ উড়াও, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান শেখ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকার, সাংগাঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।
জানা যায়, এরপর সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিতে মাল্যদান, ৮টা ৩০মিনিটে বিলুপ্ত ছিটমহলের সকল মসজিদ, মন্দিরে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য র্যালি। এরপর বিলুপ্ত ছিটমহলের বিভিন্ন স্থানে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন ও বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা।
বাংলাদেশ-ভারত বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, এই কর্মসূচী একযোগে বাংলাদেশের বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে অনুষ্ঠিত হবে।