হেলাল শেখ ঃ
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, এ ভাষা-ভালোবাসা কোন ভাষা থেকে আসছে?
কিভাবে আসছে তা আমাদের অনেকেরই পরিস্কার ভাবে জানা নেই। তাই বলছি, বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জাতিকে আগে জানতে ও বুঝতে হবে। তিনি আসলে কে? প্রিয়
পাঠকগণ আপনারা কি জানেন, যে ১৯৪৭ সালে পাকিস্থান স্বাধীন হওয়ার পর পরবর্তী দশকে কোন
শাসন চালু ছিলো?
বিশেষ করে ৬ দফার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা কে, কবে এবং কোথায় দেয়া হয়? সুত্রমতে, শেখ
মুজিব, ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ এবং লাহোরে। প্রিয় পাঠকগণ জানেন কি? শেখ মুজিব কবে
কোথায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফার ঘোষণা দেন? ২৩ মার্চ, ১৯৬৬। লাহোরে এক সাংবাদিক
সম্মেলনে। রাজনীতি করলে মারামারি করতে হয়, হামলা, মামলার শিকার হতে হয় তা চিরসত্য। শেখ
মুজিবকে প্রধান আসামী করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করার পর তা প্রত্যাহার করা হয়
জানুয়ারি, ১৯৬৯-২২ ফেব্রƒয়ারি ১৯৬৯। পাকিস্থানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭
ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে। ওই নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় পরিষদের ১৬৭টি এবং
পাকিস্থান পিপলস্ধসঢ়; পার্টি ৮৮টি আসন লাভ করে। বিশেষ করে পূর্ব- পাকিস্থান প্রাদেশিক
আইন পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন লাভ করে এবং অবশিষ্ট ১২টি
আসন অন্যান্য দল। ৬ মার্চ ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের নতুন ঘোষণা
দেয়া হয়।
সারাবিশ্ব ৭ই মার্চ ভাষণকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে। প্রিয় পাঠক জানেন ৭ই মার্চ
১৯৭১-এ শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ভাষণের বৈশিষ্ট্য কি?-অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের
কর্মসূচি প্রদান, স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা, পর্ব পাকিস্থানে আওযামী লীগের অসামরিক
প্রশাসন চালু করা। ঢাকায় মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক শুরু হয় ১৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ২৫ মার্চ
পর্যন্ত, ১০দিন চলে আলোচনা। তখন আলোচনার বৈঠক ভেঙ্গে দিয়ে ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ
করে ২৫ মার্চ রাতে। এরপর পাকিস্থান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতেই শেখ
মুজিবকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসা থেকে বন্দী করা হয়। এরপর ঘটে যায় অনেক ঘটনা, ৯ মাস
যুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হয়। লাখ লাখ মানুষের তাজা রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা পেয়েছি আজ
আমরা। বাংলা ভাষায় কথা বলছি, বাংলা আমাদের অহংকার। আওয়ামী লীগ আগেও ছিলো এখনও
আছে, আগামীতেও থাকবে। আল্লাহু সৃষ্টি করেছেন মানুষকে মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহপরিবারের রক্ত দিয়ে প্রমান করে গেছেন যে,
শেখ পরিবার দেশের মানুষকে ভালোবেসে জীবন দিতে পারেন। প্রিয় পাঠকগণ শেখ মুজিব
সম্পর্কে জানার শেষ নেই। তবুও যতোটুকুও জানার দরকার জানুন এবং জাতিকে জানার জন্য
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এই প্রতিবেদক সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখ এর অনুরোধ।
সুত্রে জানা গেছে, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন দ্বারা পাকিস্থান সৃষ্টির পরবর্তী দশক শাসিত
হয়। এই শাসন ব্যবস্থাকে ভাইস রিগ্রাল ব্যবস্থা বলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্থানের দুই অঞ্চলের মধ্যে
বৈষম্য ও বিভেদের কারণ কি? তা হলো পাকিস্থানি শাসনচক্রের নীতিহীনতা, অদূরদর্শিতা ও
স্বার্থপরতা। পাকিস্থানের প্রথম গভর্নর ছিলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তখন পাকিস্থানের
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলী খান। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর, খাজা নাজিম উদ্দিন
প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৫৩ সালে গোলাম মুহম্মদ গভর্নর জেনারেল হন। খাজা নাজিমউদ্দিনের পর
পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন বগুড়ার মুহম্মদ আলী। উক্ত নিউজ তথ্য সুত্র কমপিউটার
বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড থেকে নেয়া। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও ৮টি বিভাগে প্রায় ১৭
কোটি মানুষের নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার প্রধান, শেখ
মুজিবুর রহমানেরই কন্যা। এই ডিসেম্বর মাসেই বাংলার জয় হয়েছে। জয় বাংলা, সবাই বলুন,
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।