আল মামুন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:-
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে পুলিশী নির্যাতনে নিহত ব্যবসায়ী
সাইদুর রহমানের মৃতদেহ দুই মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে হারুঞ্জা গ্রামের নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ওই
মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় জয়পুরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক-উজ- জামান,
সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েল, কালাই
থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমুন কুমার রায়
উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর সোমবার উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে নারী
নির্যাতন মামলার আসামী মেহেদি হাসান শাপলা নামের এক আসামীকে ধরতে গিয়ে
তাকে না পেয়ে তার পরিবারের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরন করে পুলিশ। এ সময়
প্রতিবেশী সাইদুর রহমান প্রতিবাদ করায় পুলিশের নির্যাতনে তিনি আহত হলে পুলিশী
হেফাজতে কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় কালাই থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে নিহত সাইদুরের পিতা
কাজেম উদ্দিন বাদী হয়ে ঘটনার ২ দিন পর ১১ অক্টোবর ২ এস আই ও ২ কন্সটেবলের বিরুদ্ধে
আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ময়না তদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে পুনরায় ময়না
তদন্তের দাবিতে আদালতে আবেদন করেন বাদী। আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য
নিহতের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
অপরদিকে এ হত্যা মামলার ৪ পুলিশ আসামীকে প্রত্যাহার করা হলেও তাদের গ্রেফতার করা
হয়নি। আসামীরা হলেন-এসআই রফিক ও আসাদুজ্জামান এবং কনস্ট্রেবল রাশেদুল ও সেলিম
রেজা।