মোঃ আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা আদায়ের জেরে হঠাৎ করে বিকেল ২ঘটিকা থেকে সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের দোকান পার্ট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়িরা।
জরুরী ঔষধের ফার্মেসী, খাবার হোটেল ও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ রাখে ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আকষ্মিক এ ধর্মঘটের কারনে বিপাকে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক, রোগি ও সাধারণ জনগন।
জানা যায়, আজ দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা মো. আল আমিন, র্যাব – ৯ কে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। শহরের নূর ফুডস্ হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টকে মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ পানীয়, উৎপাদন ও মেয়াদের তারিখ বিহীন চা পাতা বিক্রি ও ফ্রীজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য রাখার অপরাধে ত্রিশ হাজার টাকা ও খাবারে মানব স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক রং মেশানোর দায়ে ব্রাদার্স বেকারিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন ব্যবসায়ীদের পক্ষে অবস্থান নিলে দু’পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর জের ধরেই পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে মাইকিং করে ঘোষণা দেয়া হয়। প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দুপুর থেকেই ব্যবসায়ীরা শহরের চৌমূহনা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সদস্যরা খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন এবং তার তীব্র নিন্দা করেন।
পরবর্তীতে, উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব এর হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রশাসন, এএসপি শ্রীমঙ্গল সার্কেল আশফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. মোবাশশেরুল ইসলাম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন এবং পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে ব্যবসায়ী নেতাদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এরুপ অনাকাঙ্খিত ও ভুলবুঝাবুঝির ঘটনা যাতে আর না ঘটে এজন্য উপজেলা প্রশাসন সবার সহযোগিতা কামনা করেন এবং ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি রাত ৭ ঘটিকার সময় ধর্মঘট তুলে নেয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই জনস্বার্থে আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করেছি। এখন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে আমাদের করার কিছু নাই।