বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

বড়দিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, যেখানে সকল ধর্ম, বর্ণ ও ধর্মমতের মানুষ তাদের নিজস্ব মর্যাদা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে বসবাস করে। খবর বাসস।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জন্ম নেয়, যেখানে ১৯৭১ সালে সকল ধর্মের মানুষ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিল। তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগের অধিকার রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনের সবুজ চত্বরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।তিনি বড়দিনের প্রাক্কালে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখি ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কাজ করার জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বর্তমান সরকার দেশের সকল মানুষ যাতে একত্রে ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় কর্মসূচি পালন করতে পারে সেজন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চমকপ্রদ অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অর্জনের কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদার স্থান নিশ্চিত হয়েছে। এখন কোন দেশ বাংলাদেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না।পোপ ফ্রান্সিসের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর ঢাকা সফরে কেবল মাত্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ই নয়, সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের লোকরা তাকে দেখে খুশি হয়েছেন।এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পাশে থাকতে আহ্বান জানানোর জন্য পোপের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও ক্যাথেলিক চার্চের প্রথম বাঙালি কার্ডিনাল হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ গর্ব বোধ করছে।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আর্চবিশপ প্যাট্রিক রোজারিও পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরকালে তাঁর সরকারের সবধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, সারাদেশ থেকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোক ঢাকায় আসে এবং নিরাপদে তারা বাড়িতে ফিরেছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভাইস প্রিন্সিপাল রেমন আরেঙ, বাংলাদেশ খ্রিশ্চিয়ান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুয়েল আরেঙ এমপি, এসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল রোজারিও এবং এশিয়া প্যাসেফিক এলায়েন্স অব ওয়াইএমসিএস সভাপতি মার্কাস গোমেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে বড়দিনের কেক কাটেন।প্রধানমন্ত্রী এসময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রিস্টমাস ক্যারল গান। শুরুতে দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে যিশু খ্রিস্টের আশীর্বাদ চেয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451