মোঃ অালী হাসান, পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
ফেসবুকে পরিচয়। সুন্দর চেহারা দেখে প্রেমে
পড়েছিলেন প্রবাসী যুবক। দু’জনার প্রেম
গড়িয়েছে বহুদূর। এরপর ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে কথিত বিয়ে। ‘সুন্দর’ চেহারার ‘সুন্দরী
স্ত্রী’র এখন চাহিদা একটাই- টাকা। টাকা
পাঠালেই তিনি কথা বলেন। নয়তো কথা বলেন না। এমনি করে কেটে গেলো চার বছর। এর মধ্যেই স্বামীর কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা সাবাড়
করেছে ওই সুন্দরী। চার বছর পর প্রবাসী সেই
‘স্বামী’ শ্বশুর বাড়ি এলেন। নাম, পরিচয়
ঠিকানা- সবই দিলেন। কিন্তু ওই পরিবার তাকে
অস্বীকার করে বসে। তার কথিত ‘স্ত্রী’ তো
তাকে চেনেই না। প্রবাসী ওই যুবক উপায় না
দেখে প্রমানাদিসহ দ্বারস্থ হলেন পুলিশের কাছে।
ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীর
সাথে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ২৬ লাখ টাকা
হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেয়ে, ও তার
বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ।জয়পুরহাটের
পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রাম থেকে
সোমবার গভীর রাতে ওই ৩ জনকে আটক
করে পুলিশ। আটককৃতরা পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক (৫৭), তার স্ত্রী রুবিনা বেগম ও তাদের মেয়ে কথিত বিয়ের কনে শবনম মুস্তারী এমি। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে এমি’র পরিচয় হয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চর মোহনা গ্রামের কাজী আয়াতুল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী যুবক কাজী হারুন সাগরের সাথে। পরে মোবাইলের ভিডিও
কনফারেন্স এর মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে
দীর্ঘ ৪ বছরে সৌদি আরব থেকে ওয়েষ্টার্ন
ইউনিয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে ওই সৌদি
প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকারও
বেশী হাতিয়ে নেয় এমি ও তার মা-বাবা।
গত ১৫ ডিসিম্বর দেশে ফিরে জয়পুরহাটের
পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামে কথিত
শ্বশুর বাড়ি আসলে এমি ও তার মা-বাবা ওই
বিয়ের কথা অস্বীকার করলে প্রমাণাদিসহ
পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেন ওই
প্রবাসী যুবক। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ
প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ বাবা, মা ও মেয়েকে
তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে জেলহাজতে প্ররেণ করা হয়।