বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

বড়লেখা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষের হাট: বে-আইনি ভাবে প্রিন্ট পর্চা প্রকাশ্যেবিক্রি

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

 

 মৌলভীভাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষের হাট বসিয়ে প্রতিটি ছাপা খতিয়ান পর্চা ২০০-২৫০ টাকা দামে বিক্রি করছেনপেশকার গোলাম মোস্তাফা কামাল। ভুমি মালিকদের সুবিধার্থে পর্চা বন্টনের তারিখ সম্বলিত নোটিশ টানানোর এবং পর্চা ফি বাবদ মাত্র ২৫ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও অফিসের দেয়ালেপর্চা বিক্রির নোটিশ টানানো হয়েছে। এভাবে সরকারী অফিসে প্রকাশ্যে বিক্রির নোটিশ টানানো বে-আইনি বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।

জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা ও পৌরশহরের বালিচর মৌজার ভুমি মালিকদের প্রিন্ট খতিয়ান পর্চা বন্টনের তারিখ ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর নির্ধারণকরে যোনাল সেটেলমেন্ট অফিস। এর প্রেক্ষিতে বড়লেখা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে বন্টন কথাটি না লিখে বিক্রির নোটিশ টানানো হয়। প্রতিটি পর্চা বাবদ ভুমি মালিকদের নিকট থেকেসর্বোচ্চ ২৫ ফি নেয়ার কথা। কিন্তু এ অফিসের পেশকার গোলাম মোস্তফা কামাল প্রতিটি প্রিন্ট পর্চা ২০০ টাকায় বিতরণ করছেন। ১০০ টাকার মৌজা ম্যাপ তিনি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রিকরছেন।

সরেজমিনে প্রকাশ্যে প্রিন্ট পর্চার জমজমাট হাট চলতে দেখা গেছে। মুর্শিবাদকুরা মৌজার ভুমি মালিক আব্দুল জব্বার জানান, অনেক দরকাষাকষি করে একটি টাকার কম দিতে পারেননি।বাধ্য হয়ে ৬০০ টাকা দিয়ে তিনটি পর্চা কিনেছেন। বালিচর মৌজার ভুমি মালিক সালাহ উদ্দিন ২১০০ টাকা দিয়ে ১০টি পর্চা সংগ্রহ করেছেন। ভুমি মালিক আব্দুল হালিম, সুরুজ আলী, সুরেন্দ্র দাস, মিন্টু মিয়া প্রমূখ অভিযোগ করেন, ২৫ টাকার জায়গা ৫০ টাকা নিলে গায়ে লাগতো না। কিন্তু কোন মালিককে ২০০ টাকার নিচে পর্চা দেয়া হচ্ছে না।

এব্যাপারে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার গোলাম মোস্তফা কামাল দম্ভোক্তির সুরে জানান, তিনি কারো পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা নিচ্ছেন না। চা পানির জন্য পর্চা প্রতি ২০০ টাকাকরে নিচ্ছেন। এটা সব অফিসেই হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451