মৌলভীভাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষের হাট বসিয়ে প্রতিটি ছাপা খতিয়ান পর্চা ২০০-২৫০ টাকা দামে বিক্রি করছেনপেশকার গোলাম মোস্তাফা কামাল। ভুমি মালিকদের সুবিধার্থে পর্চা বন্টনের তারিখ সম্বলিত নোটিশ টানানোর এবং পর্চা ফি বাবদ মাত্র ২৫ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও অফিসের দেয়ালেপর্চা বিক্রির নোটিশ টানানো হয়েছে। এভাবে সরকারী অফিসে প্রকাশ্যে বিক্রির নোটিশ টানানো বে-আইনি বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের মুর্শিবাদকুরা ও পৌরশহরের বালিচর মৌজার ভুমি মালিকদের প্রিন্ট খতিয়ান পর্চা বন্টনের তারিখ ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর নির্ধারণকরে যোনাল সেটেলমেন্ট অফিস। এর প্রেক্ষিতে বড়লেখা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে বন্টন কথাটি না লিখে বিক্রির নোটিশ টানানো হয়। প্রতিটি পর্চা বাবদ ভুমি মালিকদের নিকট থেকেসর্বোচ্চ ২৫ ফি নেয়ার কথা। কিন্তু এ অফিসের পেশকার গোলাম মোস্তফা কামাল প্রতিটি প্রিন্ট পর্চা ২০০ টাকায় বিতরণ করছেন। ১০০ টাকার মৌজা ম্যাপ তিনি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রিকরছেন।
সরেজমিনে প্রকাশ্যে প্রিন্ট পর্চার জমজমাট হাট চলতে দেখা গেছে। মুর্শিবাদকুরা মৌজার ভুমি মালিক আব্দুল জব্বার জানান, অনেক দরকাষাকষি করে একটি টাকার কম দিতে পারেননি।বাধ্য হয়ে ৬০০ টাকা দিয়ে তিনটি পর্চা কিনেছেন। বালিচর মৌজার ভুমি মালিক সালাহ উদ্দিন ২১০০ টাকা দিয়ে ১০টি পর্চা সংগ্রহ করেছেন। ভুমি মালিক আব্দুল হালিম, সুরুজ আলী, সুরেন্দ্র দাস, মিন্টু মিয়া প্রমূখ অভিযোগ করেন, ২৫ টাকার জায়গা ৫০ টাকা নিলে গায়ে লাগতো না। কিন্তু কোন মালিককে ২০০ টাকার নিচে পর্চা দেয়া হচ্ছে না।
এব্যাপারে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার গোলাম মোস্তফা কামাল দম্ভোক্তির সুরে জানান, তিনি কারো পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা নিচ্ছেন না। চা পানির জন্য পর্চা প্রতি ২০০ টাকাকরে নিচ্ছেন। এটা সব অফিসেই হচ্ছে।