বাসস,
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সেবা প্রার্থীদের হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হয়রানিমুক্ত সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। এ কথা বিবেচনায় রেখে জনগণের জন্য হয়রানি মুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজ সোমবার পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ সাধারণত থানা অথবা পুলিশের কাছে যেতে চায় না। তারা খুব অসহায় হয়ে পড়লেই তখন বাধ্য হয়ে পুলিশের সাহায্য নেয়।’ সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পুলিশের ওপর যখন জনগণের পূর্ণ আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তাঁদের দুঃসময়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে, তখনি তাঁরা মনে করবে পুলিশ তাঁদের বন্ধু।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পুলিশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে, অপরাধীদের আটক করতে এবং স্পর্শকাতর মামলার চার্জশিট দ্রুত প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে উন্নয়ন থেমে যাবে, মানুষ অনিরাপদ বোধ করবে, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ক্রমান্বয়ে সাইবার অপরাধ বাড়ছে এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম।’
মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার তরুণদের অপরাধের দিকে ধাবিত করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
বক্তব্যের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ দেশপ্রেমিক সৈনিকগণ বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে নৃশংসভাবে নিহত পুলিশ সদস্য এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগী লোকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।