অনলাইন ডেস্কঃ-
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা, গাড়ি পোড়ানো কখনো বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন সহিংসতা কঠোরভাবে দমনেও নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ বাহিনীকে।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এমন নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে দিকনির্দেশনা দিতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় যেখানে নিজেদের কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরেন পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরকারের নতুন গ্রেড অনুযায়ী পদোন্নতি, আদালতে পুলিশে জনবল বাড়ানো, উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ এক হাজার কোটি টাকা করাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
পর্যালোচনা করে এসব বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাইবার আগেই অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ধন্যবাদ জানান জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সাহসিকতার সঙ্গে ভূমিকা পালনের জন্য। ভবিষ্যতেও এসব দমনে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
ক্ষমতায় থাকাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যেমন একটা কথা ছিল না? বাঘে ধরলে এক ঘা, পুলিশে ধরলে ১৮ ঘা। সেই প্রবাদবাক্য যেন মিথ্যা প্রমাণ হয়। যেটা পুলিশ আস্থার জায়গা, বিশ্বাসের জায়গা। জনগণের আস্থা বিশ্বাস পুলিশ অর্জন করবে।’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিক করারও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে মারা, এটা কোন ধরনের রাজনীতি, আমি এটা জানি না। আমরা এটা গ্রহণ করতে পারি না। কাজেই এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, কঠোরহস্তে তাদের দমন করতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। এটা কোনো রাজনীতি নয়, এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এটা হলো বাস্তবতা এবং আমরা কখনোই এ ধরনের কাজ বরদাশত করব না।’
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে ঠিকঠাক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশের মাটিতে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবারও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচারটা চালাচ্ছে কারা? চালাচ্ছে ওই যে যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, জাতির পিতার খুনি, যাদের আমরা বিচার করেছি। তাদের যারা এখন আত্মীয়স্বজন, তাদের দোসররা আর সেইসাথে বিএনপি আছে। এরাই কিন্তু অযথা বিভিন্ন দেশে দেশে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।