অনলাইন ডেস্কঃ-
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ‘পদ্ধতিগতভাবে গৃহীত’ হবে, তাদের জন্য একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বানাচ্ছে মিয়ানমার।সোমবার দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোব্যাল নিউ লাইট ফর মিয়ানমারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হ্লা পো খাউংয়ে ১২৪ একর জায়গার ওপর নির্মিতব্য এই আশ্রয়কেন্দ্রের ৬২৫টি ৩০ হাজারের লোক থাকতে পারে। এর মধ্যে ১০০টি ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে এই মাসের শেষ দিকে।
মিয়ানমারের ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজেস ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাসিসট্যান্স, রিসেটলমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান সমন্বয়ক অং তুন থেট রয়টার্সকে বলেন, হ্লা পো খাউংয়ের আশ্রয়কেন্দ্রটি হবে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব বাড়িঘরে বা কাছাকছি কোথাও আশ্রয় নেবার আগের আশ্রয়কেন্দ্র।
তিনি বলেন, যারা ফিরতে চাইবে তাদের মিয়ানমারের বাসিন্দা হিসেবে যাচাই করার পরই গ্রহণ করা হবে। এরপর তাদের পর্যবেক্ষণ শিবিরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অস্থায়ী শিবিরে।
সোমবার নেইপিদোতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গত ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তিটির বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা ও খুঁটিনাটি ঠিক করা।মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব সোয়ে অং অং জানান, রোহিঙ্গাদের নতুন বাড়ি বানানোর আগ পর্যন্ত অন্তত এক থেকে দুই মাস হ্লা পো খাউং শিবিরে থাকতে হতে পারে।