স্পোর্টস ডেস্কঃ-
নিজেদের তৃতীয় মাঠে কাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। এ ম্যাচ জিতলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১০ ওয়ানডে জয়ের নতুন রেকর্ড গড়বে টাইগাররা। যা যে কোনো দলের বিপক্ষে হবে সর্বোচ্চ। তাই কোন ছাড় দিতে চান না টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। অন্যদিকে এ ম্যাচে জয় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন জিম্বাবুয়ের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার মুর।আগামীকাল(মঙ্গলবার) মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। গাজী টিভি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হারের পর ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারো অনুশীলন মাঠে জিম্বাবুইয়ান দল। আট খেলোয়াড়কে হোটেলে রেখেই কোচ হিথস্ট্রিক আসেন মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে। ক্রেমার, টেইলর, চাতারারা বিশ্রামে থাকলেও মাসাকাদজা, মুররা ঠিকই মাঠে। কারণ চোখে তাদের ফাইনালের সমীকরণ। প্রত্যেক আন্তর্জাতিক ম্যাচেই নতুন কিছু পাওয়ার থাকে, প্রাপ্তির খাতায় যোগ হওয়ার থাকে লেটার মার্কস। তাই জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচকে বড় করেই দেখছেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার।তামিম আজ(সোমবার) মিরপুরে ম্যাচপূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুইটা ম্যাচ জিতে গেছি, হারলেও কিছু হবে না, এই জিনিসটা দেখছি না। প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলোয়াড়ের একটা সুযোগ থাকে একটি হানড্রেড করার, একটি পাঁচ উইকেট নেয়ার। আমি যখন আমাদের গ্রুপটাকে দেখি তখন মনে হয় প্রত্যেকেই এ জিনিসটার পিছনে ছুটছে। রিল্যাক্সের কোনো সুযোগ দেখছে না। আমরা ফাইনালে ওঠে গেছি তারপরও প্রত্যেকটা ম্যাচ সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুইটা ম্যাচে আমাদের অর্জনের অনেক কিছুই আছে। বাংলাদেশ ফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাকে চাইছে? বাংলাদেশের উপরই নির্ভর করছে তাদের ফাইনালে। বাংলাদেশের চাওয়া কি? জানতে চাওয়া হয়েছিল তামিমের কাছে। ড্যাশিং ওপেনারের সহজ স্বীকারক্তি, আমি ওরকম করে বলব না যে শ্রীলঙ্কাকে চাই বা জিম্বাবুয়েকে চাই। ফাইনালে যার সঙ্গে দেখা হবে ওরকম করেই খেলব। যেই আসবে তাদের সাথে খেলা লাগবে, ভালো খেলতে হবে।অন্যদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেয়া স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে ফাইনালে উঠার সুযোগ রয়েছে জিম্বাবুয়ের। স্বাগতিদের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে উঠতে পারার সম্ভাবনাকে কিভাবে দেখাছেন মুর। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, আমি মনে করি এটা বড় ব্যাপার হবে। অবশ্যই আমরা এখানে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। আমাদের দলের সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজে রয়েছে। আমরা আগামীকাল ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চাই।প্রথম দেখায় হেরে যাওয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুর বলেন, আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচে অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমি বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) পিস এবং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করেছি। আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচে উইকেট অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করেছে এবং ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের মূ্ল্য দিতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা প্রমান করেছি যে আমরা যোগ্য। আমরা হতাশ নই। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করার অনু্প্রেরণা নিয়ে আমরা আগামীকাল ভালো করতে চাই।ভালো করার ইঙ্গিত দিয়ে মুর বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সচেতন রয়েছি। ঘরের মাঠে তারা বেশ শক্তিশালী দল এবং শেষ কয়েক বছরে দেশের বাইরেও বেশ শক্তিশালী। আমরা জানি তারা স্পিনে বেশ ভালো। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। সেই সঙ্গে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ ও রুবেলকে নিয়েও তারা বেশ শক্তিশালী। সেটা মাথায় রেখেই আমরা অনুশীলন করছি। আমার মনে হয় আগামীকাল ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে আমাদের ভালো করতে হবে এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা সেটা করতে সক্ষম।ফাইনাল নিশ্চিত বলেই বাংলাদেশের চোখ এখন পারফরমেন্সকে আরো এগিয়ে নেয়া ও আরো ক্ষুরধার করা। সেই লক্ষে একাদশে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ। তাই সেরা একাদশকেই মাঠে নামাবেন স্ট্রিক, টাইবুরা।