টি.আই সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :-
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েয় বার্ষিক ক্রীড়া ও
সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্রে নামের অবস্থান লিপিবদ্ধ নিয়ে উত্তেজনার সুত্রপাত
হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় গোদারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের
সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন সরকারের নাম প্রচারপত্রে চাহিদানুযায়ী
পাতায় ছাপা না হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী
এলাকাবাসীর।
শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্যালয় পরিচালনা
পরিষদের সভাপতি আমিনুল হক সরকার জানান, কমপক্ষে ১৫ দিন আগে
শিক্ষক, অভিভাবক ও কমিটির সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেন। সে অনুযায়ী দাওয়াতপত্র, তৈরী করে প্রচারও করা হয়। রোববার রাতে
মাঠে মঞ্চ তৈরী ও সাজানোর সময় একদল লোক এসে মঞ্চ শ্রমিকদের বাধা
দেয় ও ভয়ভীতি দেখায়। অনুষ্ঠানে তেলিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
আব্দুল বাতেন সরকার প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, বছরের শুরুতেই শিশুদের নানারকম খেলাধুলার
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সোমবার অপ্রস্তুত মাঠে খেলার বিভিন্ন ইভেন্ট
সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনাসভার
আয়োজন রয়েছে।
এলাকাবাসীও শিক্ষকদের সাথে সুর মিলিয়ে বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয় মাঠে
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের প্রচার দেয়া হচ্ছে। সোমবার
সকাল থেকে এ নিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি
সদস্য হাসান হাফিজুর রহমান দীপক ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা।
তবে ইউপি সদস্য হাসান হাফিজুর রহমান এ ব্যাপারে কিছুই জানেন
না বলে জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোজী জানায়, দৌড় প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয়
হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সে পুরষ্কার নিতে
আসবে। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফা জানায়, দৌড়, জলডাঙ্গা ও
দীর্ঘ লাফ প্রতিযোগিতার দুটিতে সে প্রথম এবং একটিতে দ্বিতীয়
স্থান অধিকার করেছে। এতে সে খুব খুশি। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে
সে পুরষ্কার গ্রহণ করবে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা জানান, কোমলমতি শিশুরা বছরের দুটি দিন
বার্ষিক আনন্দ বিনোদন কাটিয়ে থাকে। পুুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান
হবে কিনা এ নিয়ে অভিভাবকেরা এখন শঙ্কিত।
অনুষ্ঠানে ডোকোরেটরের দায়িত্বে নিয়োজিত কবির হোসেন জানান,
রোববার রাতে তার কারিগরেরা মাঠ সাজানোর কাজ করছিলেন। রাত সাড়ে
৯টার দিকে স্থানীয় মোফাজ্জল সরকারের লোকজন কিছু লোক এসে
ভয়ভীতি দেখালে কারিগরেরা পালিয়ে যায়। এসময় তারা দুটি ত্রিপল,
তিনটি শাবল ও ডেকোরেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, তার নাম ছাপানো নিয়ে
কোনোরূপ আপত্তি তার নেই। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই
জানেন না।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আকতার বলেন,
এ ঘটনায় তার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। বিদ্যালয়ের পূর্ব
নির্ধারিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন যথারীতি
অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আরো আগেই চলে
গেছে। এ দিবসটি এখন নয়।