স্পোর্টস ডেস্ক ঃ-
বছরখানেক আগের কথা। শ্রীলঙ্কার মাঠে শততম টেস্ট খেলতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল। অথচ সেই দলে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ । একাদশে তো ছিলেনই না, জায়গা হয়নি ১৬ সদস্যের স্কোয়াডেও। আর এই বছরের প্রথম টেস্টে সেই মাহমুদউল্লাহ কিনা প্রস্তুত হচ্ছেন চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে।
অবশ্য টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পেছনে ফর্মহীনতাও ছিল কারণ। কিন্তু প্রশ্নটা বেশি ডালপালা মেলতে শুরু করে যখন মাহমুদউল্লাহকে ছেঁটে ফেলতে চাওয়া হয় ওয়ানডে থেকেও।
শেষমেশ ফিরেছিলেন ওয়ানডের দলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কিউইবধে হাঁকিয়েছিলেন অনবদ্য এক শতক। টেস্টের দলে ফিরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। হতাশার সে সিরিজে অন্যদের তুলনায় মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সই ভালো ছিল।
শান্ত-বিনয়ী স্বভাব মাহমুদউল্লাহকে আলাদা করে চিনিয়েছে অন্যদের চেয়ে। ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দেখেছেন। সেসব নিয়ে না ভেবে চোখটা রাখছেন ক্রিকেটের মাঠেই, ‘ক্রিকেটারদের জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কখনো সময় পক্ষে থাকে, কখনো নয়। আমার জন্য এটি ভালো সুযোগ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এটি দলের দিক থেকে। যেভাবে আমরা ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করেছিলাম, সেই জায়গাটায় ফিরে গিয়ে আবার ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরেই নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে অব্যাহতি দেওয়া হয় টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে। সাকিব আল হাসান দায়িত্ব পান নতুন অধিনায়ক হিসেবে। সাকিবের ডেপুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। ফলে সাকিবের হঠাৎ চোটে টেস্ট দলের দলনায়কের ভার আচমকাই চলে গিয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের কাঁধে।