অনলাইন ডেস্কঃ-
রাজধানীর রমনা ও শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৫৯ জনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব রিমান্ডের আদেশ দেন।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় হেলালসহ ৩১ আসামিকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আর একজনকে একদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা দুই মামলায় ২৭ জনকে দুদিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আনিসুর রহমান জানান, সন্ধ্যায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম খান ৩৪ জনকে হাজির করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুল হাসান জানান, হেলাল ছাড়া রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রাক্তন সভাপতি হাসান মামুন, প্রাক্তন বন ও পরিবেশমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ফারুকুল ইসলাম সেলিম, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল নেতা হাফিজ আল মাহমুদ।
মাহমুদুল হাসান জানান, আসামিদের মধ্যে মহিলা দলের নেত্রী লুৎফুর নাহার লাভলী এবং জুনু বেগমের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মজিবুর রহমান নামের এক আসামির একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। অপর ৩১ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মাহমুদুল হাসান আরো জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহবাগ থানার পুলিশ ৩৬ আসামিকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামিদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন মেজবাহ আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ২৭ আসামিকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাহমুদুল হাসান আরো জানান, এ মামলায় সাতজন নারী ও দুই জন অসুস্থ থাকায় বিচারক তাঁদের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসা থেকে হেলালকে আটক করা হয়।
আজিজুল বারী হেলাল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।