অনলাইন ডেস্কঃ–
দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা পদত্যাগ করেছেন। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুরেই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা চিঠিতে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা লেখেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী আমার অনিবার্য ব্যক্তিগত কারণবশত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের পদ হইতে এতদ্বারা পদত্যাগ করিলাম। অনুগ্রহপূর্বক আমার এই পদত্যাগ পত্রখানা গ্রহণ করিয়া আমাকে বাধিত করিবেন।’
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর থেকে প্রধান বিচারপতির পদ খালি ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
গত ১ আগস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা ও আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগেরও দাবি তোলেন। এরই মধ্যে গত ২ অক্টোবর হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি আবেদনে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রপতিকে।
পরে গত ১৩ অক্টোবর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ১০ নভেম্বর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনই দেশের বাইরে থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠান এস কে সিনহা।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত হয়। এ নিয়েই বিচার বিভাগ ও সরকার পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যায়।