বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ-
৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচী থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
একই সঙ্গে কোনো উস্কানির ফাঁদে পা না দিতে দলের নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ছেন কাদের। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কারো সঙ্গে পাল্টাপাল্টিতে যাবো না। আমাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নেত্রী ৮ তারিখের দিনে কোনো কর্মসূচি দিতে বলেননি। আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। আপনারা বিএনপির উস্কানির ফাঁদে পা দেবেন না। তারা যদি বিশৃঙ্খলা করে, রাস্তা দখল করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করবে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। ও নিয়ে আপনাদের ভাবার দরকার নেই। আপনারা শুধু সতর্ক থাকবেন।’
যুবসমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের রায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারা বাতিল করার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন তোলেন, যারা দলের মধ্যে গনতন্ত্র চর্চা করতে পারে না, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি বলেন, ‘৮ তারিখে দুর্নীতি মামলার সাজা হওয়ার আগে বিএনপি বেগম জিয়াকে দুর্নীতিবাজ বলে সাব্যস্ত করেছে। সাত ধারা রাতের আঁধারে গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিয়েছে।’
আদালত প্রসঙ্গে তারেক রহমানের মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আদালত নাকি এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর বিচারকরা নাকি ঠিকাদার। তিনি বলছেন জেল জুলুম হুলিয়ার নেতাকর্মীদের আন্দোলন করতে হবে। সৎ সাহস থাকলে আসুন, আজকে জেল জুলুম মোকাবিলা করুন। রাজপথে নামুন। তাহলেই বুঝব আপনি নেতা। তার আগে নয়।’
সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এই রায়ের সঙ্গে বর্তমান সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে রায়কে কেন্দ্র করে কোনো নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন আদালত। গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন নির্ধারণ করেন।