রনি ইমরান, পাবনা থেকে :- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ
হয়ে বিএনপি আদালতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আদালতের
বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন হতে পারে না। তাদের আন্দোলনের হুমকি
অচিরেই ফাঁকা বুলিতে পরিণত হবে। বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার
আসবে না। বিএনপির হুমকীতে আওয়ামীলীগ পাত্তা দেয় না। বুধবার
পাবনা পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলা আওয়ামীলীগের কর্মীসভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিশে^র কোথায় আদালতের
রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয় না। ভারতের জয়ললিতা ও লালু প্রসাদ যাদবের মত
বড় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় হলেও সেখানে কোন বিশৃঙ্খলা হয়
নি। বিএনপির হুমকিতে আওয়ামীলীগ পাত্তা দেয় না। বিএনপিকে
বাংলাদেশ নালিশ পার্টি অভিহিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা আওয়ামী লীগের আমলে নয়,
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে করা। সরকার আদালতের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে
না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই এ সরকারের আমলে মন্ত্রী , এমপি ও
তাদের সন্তানরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, কেউবা জেল খেটেছেন। কিন্তু
বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
অতীতের মত এবারও তাদের আন্দোলনের স্বপ্ন ব্যর্থতায় পর্যবশিত হবে।
বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। দলের নেতাকর্মীদের
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবার নির্দেশনা দিয়ে ্ধসঢ়;ওবায়দুল কাদের
বলেন, নির্বাচনে জয়ী হতে হলে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমুখী রাজনীতি
জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপির হঠকারি আর মিথ্যার
রাজনীতিকে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। কর্মীসভায় ব্যনার ও ছবির
ফেষ্টুনের ছড়াছড়ি দেখে ওবায়দুল কাদের ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন আমি ব্যনার ছবি
দেখতে আসিনি এসেছি কর্মী সমাবেশ করতে। দল ক্ষমতায় থাকলে
মৌসুমী প্রার্থীরা ভীড় জমায় মৌচাকে মধু থাকলে মাছি আসে।
বিলবোর্ড ও ব্যনারের ছবি মুছে যাবে, বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে
মানুষের ভালোবাসা স্থায়ী হবে। তাই তিনি জনগনের পাশে দাড়াতে
নেতাকর্মীদের আহবান জানান। তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের বছর
যেদিকেই তাকাই প্রার্থীর ছড়াছড়ি। ছোট নেতা, পাতি নেতার দরকার
নেই। দরকার ভালো কর্মীর। তিনি নেতাকর্মীদের সৃস্থ প্রতিযোগিতার
আহবান জানিয়ে বলেন, কেউ অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে তা
বরদাস্ত করা হবে না। কেউ আগামি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে
আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে। দল যোগ্যতম প্রার্থীকেই মনোনয়ন
দেবে। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে হানাহানি হলে কঠোর
ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে এবং জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির
পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে বক্তব্য আরো রাখেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, পাবনা জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, মকবুল হোসেন এমপি, শামসুল হক
টুকু এমপি, যুব লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য রাকসু সাবেক
জিএস খন্দকার জাহাঙ্গির কবির রানা, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-
কমিটির সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, সদর উপজেলা
চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন, আব্দুল বাতেন প্রমুখ। এদিকে, দলের
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের আগমনকে ঘিরে পাবনায় আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বয়ে যায়। বিভিন্ন উপজেলার
সভাপতি সম্পাদকের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন
প্রত্যাশীরা নিজ নিজ ছবি সম্বলিত প্রচুর ব্যানার ও কর্মী-সমর্থক
পরিবেষ্টিত হয়ে সমাবেশে যোগ দেন।