শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতা বহিষ্কার

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
ছাত্রলীগের তিন নেতা বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্কঃ-

ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে, এস এম হলের প্রভোস্ট ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।

বহিষ্কৃত তিন ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে রুহুল আমিন ও ওমর ফারুক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক এবং মেহেদী হাসান হিমেল উপপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এহসান রফিককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরের দিন বুধবারও তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। মারধরের কারণে একটি চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত পান রফিক। গতকাল বুধবার এক সময় পালিয়ে ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন রফিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে গিয়ে বিস্তারিত জানান রফিক।

রফিক সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুককে ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় রফিককে শিবির আখ্যা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে একই হলের ছাত্রলীগের একাধিক নেতা।

জানা যায়, ওমর ফারুক ও তাঁর কর্মীরা এহসান রফিককে ধরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে এহসান রফিক শিবিরকর্মী কি না তা যাচাইয়ের চেষ্টা চলে। শিবিরকর্মী হিসেবে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রফিককে পেটানো হয়।

পরে রফিককে হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন হল শাখার সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল। হলের গেটে আসার পর রফিক অভিযোগ করেন রুহুল আমিন, ওমর ফারুক ও মেহেদী হাসান হিমেল তাঁকে মারধর করেছেন। এ সময় তিনি চোখে মারাত্মক আঘাত পান। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর রফিককে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের কথা বলে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর আবার রফিককে এসএম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান রাসেলের কক্ষে নেওয়া হয়।

পরের দিন সকালে চোখের অবস্থা আবার খারাপ হলে আরেক দফা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। পরে আবার হলে ফিরিয়ে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে রাখা হয়। রফিক জানান, গভীর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো খাবার দেওয়া হয়নি তাঁকে। এরপর তিনি কৌশলে পালিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে গিয়ে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে এস এম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ‘তাদের বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে শিবির করত না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451