জাকির হোসেন পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ সরকারি নির্দেশনা
থাকার পরও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ
মিনার নির্মাণ করা হয়নি। এতে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ২১
ফেব্রæয়ারিতে শহীদ ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায়
পালন কর হয় না। তবে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এই স্থাপনা নির্মাণ করা সম্ভব
হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সই করা ২০১৬ সালের ১
ফেব্রুয়ারির এক দাপ্তরিক আদেশে বলা হয়েছে, দেশের যেসব সরকারি-
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নেই সেগুলো অতি দ্রুত শহীদ
মিনার নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার
জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো যথাসম্ভব দ্রুত সংস্কার করতে হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্যে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮৭টি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪টি, উচ্চ মাধ্যমিক ১০টির মধ্যে ৫টি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি দাখিল ও আলিম মাদ্রাসার
মধ্যে একটিতেও এই স্মৃতিস্ম¥াক নেই। শহীদ মিনার নেই এমন কিছু
কিছু প্রতিষ্ঠানগুলোতে কলাগাছ, বাশেঁ কাগজ মুড়িয়ে অস্থায়ী শহীদ
মিনার বানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। তবে বেশির
ভাগ প্রতিষ্ঠানে ওই দিবসে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না। উপজেলায়
দশটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু পাঁচটি কলেজে শহীদ
মিনার আছে। এগুলো হচ্ছে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ, ডিএন ডিগ্রী কলেজ,
জাবরহাট ডিগ্রী কলেজ, চন্দরিয়া ডিগ্রী কলেজ ও লোহাগাড়া ডিগ্রি
কলেজ। ভেবড়া ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক জয়নাল আবেদন জানান,
শহীদ মিনারের জন্য বিদ্যালয়ে অর্থের জোগান নেই। বরাদ্দ পেলেই
নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আমবালা
দাখিল মাদ্রাসায় কোনো শহীদ মিনার নেই। এ ব্যাপারে কথা হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র
রাকিব হাসান জানায়, শহীদ মিনার নেই বলে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে কখনও ফুল দেওয়া
হয়নি। এমনকি এই দিবসটি সম্পর্কে সে কোন কিছু জানে না। উপজেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল্যাহ বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের
জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শহীদ মিনার
তৈরির জন্য প্রধান শক্ষক ও কমিটির সভাপতিকে উদ্বুদ্ধও করা হচ্ছে।