সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ধামরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া 

প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন কিছু না, যুগযুগ ধরে চলে আসছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন কিছু না, যুগযুগ ধরে চলে আসছে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্কঃ- 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস এটা নতুন কিছু না। এটা যুগ যুগ ধরে চলে, কখনো প্রচার হয়, কখনো প্রচার হয় না।’ তিনি বলেন, ‘এত ট্যালেন্টেড কে আছে? যে একবার দেখেই সব উত্তর মনে করে ফটাফট লিখে দিল?’

আজ সোমবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ইতালি সফর প্রসঙ্গে জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা জানান, পরীক্ষা পদ্ধতিতে ‘টিক মারা’ তুলে নেওয়া হবে।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘একটা প্রশ্ন করি, প্রশ্নগুলো যে ফাঁস হয়েছে সেটা কতদিন আগে ফাঁস হয়েছে? সাধারণত কুড়ি মিনিট আগে। এখানে আমার প্রশ্ন আছে। যখন প্রশ্নপত্র হলে যায়, তখন তা খোলা হয়, বিতরণ করার জন্য সবকিছু খুলে রাখা হয়। এখন যদি সেখানে কেউ চট করে একটা ফটো নিয়ে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয় সেটা আপনি কী করবেন?’ আরেকটা প্রশ্ন আছে কুড়ি মিনিট বা আধাঘণ্টা বা ধরলাম এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা আগে যদি প্রশ্নফাঁস হয়, এত বেশি ট্যালেন্ডেড কে আছে?’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আধা ঘণ্টা আগে তারা হলে গিয়ে ব্সল। তখন দেখা গেল প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, কারো কারো কাছে চলে গেছে। এই যে আধা ঘণ্টা বা ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন দেখার পর ওই প্রশ্ন অনুযায়ী বই খুলে সেই প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে সেটাকে স্মরণ করে খাতায় লেখার মতো এ রকম ট্যালেন্টেড কোন ছাত্র আছে আমাকে বলেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজছি, পাচ্ছি না, এত ট্যালেন্টেড কে আছে? যে একবার দেখেই সব উত্তর মনে করে ফটাফট লিখে দিল। একটা আছে যেটা টিক মারতে হয়। কিন্তু ওই সময় বই খুলে উত্তর বের করা, কয়েকশ প্রশ্নের উত্তর আছে, সেখান থেকে কয়েকটা আসে। সেটাও খুঁজে তাড়াতাড়ি বের করে কীভাবে লেখে? এ কথাটার উত্তর কেউ দিতে পারবে কি না এটা আমার জানার দরকার। আমি কাল থেকে চিন্তা করছিলাম এত ট্যালেন্ট বা এ রকম ফটোজেনিক মেমোরি কার আছে যে সে একবার প্রশ্ন দেখল ওই সময়ের অতগুলো বই খুঁজে উত্তর বের নেওয়া আর সেটাকে মাথার মধ্যে নিয়ে নেওয়ার আর লিখে দেওয়া  এটা কেউ পারবে কি না। এটা আপনারা কখনো চিন্তা করেছেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একবার কথা হলো ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। ইন্টারনেট বন্ধ হলেই সব সমাধান হবে, তা তো না। তাহলে একটা করতে হয় ডিজিটাল সিস্টেম টোটালি ব্লক করে দিতে হবে। এখন তো সবই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেটা হলে কী অবস্থা হবে ভেবে দেখুন।’

‘টিক মারাটা বন্ধ করে দেব’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তাদের ধরিয়ে দেন আমরা অবশ্যই শাস্তি দেব। পরীক্ষা পদ্ধতিতে ওই টিক মারাটা বন্ধ করে দেব। কারণ ওখানেই তো সুবিধা বেশি, তো ঠিক আছে ওটা বন্ধ করে দেব। আপনারা এর পক্ষে লিখেন। বন্ধ করে দিচ্ছি। আমার কোনো অসুবিধা নাই। কারণ আমরা তো ওরকম দেই নাই। আমাদের তো লিখতে হয়েছে খাতায়।’

‘কাউকে বের করেন, শাস্তি দেব’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা লোকের নাম বলেন সে এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে সে দায়ী। মন্ত্রী কি নিজে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গেছে? বা সচিব গেছে? বা যারা শিক্ষক তারা করেছে? হ্যাঁ কিছু নিশ্চয়ই আছে, যারা নইলে এভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ সেন্টার। আপনারা সাংবাদিক। আপনাদের এজেন্ট সব জায়গায় আছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ দয়া করে একটা বের করে দিন; কাউকে বের করেন, সাথে সাথে শাস্তি দেব। আমরাও চাই না প্রশ্নপত্র ফাঁস হোক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০ মিনিট, কিংবা আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা আগে তো প্রশ্নপত্র চলেই যায়। সেটা বিতরণের জন্য খুলে প্রত্যেক রুমে রুমে দিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্ররা যায়, তাদের হাতে দেয়। এটা এমনিই দেয়। এখন সবার হাতে ফোন। ছবি তুলে কেউ দিতে পারে। আমাকে ওই প্রশ্নের উত্তরটা কেউ দিতে পারবেন কি না, কার এ রকম ফটোজেনিক মেমোরি আছে যে একবার দেখে নিয়ে সে কোন বইয়ে কোন উত্তরটা আছে চট করে সে বইও দেখে ফেলল, প্রশ্নও মুখস্থ করে ফেলল, আবার উত্তরও লিখে ফেলল। এ রকম একটা এক্সামপল দিতে পারবেন কি না, দেন। তাহলে এ অভিযোগগুলো হয়তো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু মনে হচ্ছে এটা যেন সুর তুলে নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রশ্নপত্র ফাঁস। আমি প্রশ্ন করলাম কখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। যদি ২৪ ঘণ্টা আগে হয়, ১০ ঘণ্টা আগে হয়, ১২ ঘণ্টা আগে হয়, একদিন আগে হয় তখন একটা কথা। এখন ডিজিটাল পদ্ধতি হওয়ায় এ সমস্যা, তাহলে বলেন তো সব বন্ধ করে দেই ডিজিটাল সিস্টেম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সচিব আর মন্ত্রী গিয়ে তো প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451