স্পোর্টস ডেস্কঃ-
গত বছর নভেম্বরে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই তিনিই শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হয়ে ঘুরে গিয়েছেন বাংলাদেশ। অথচ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের জায়গাটা কি না এখনো ফাঁকা। ‘গুরু’ ছাড়া ঠিকঠাক ‘সাধন’ হবে না, তার প্রমাণ শ্রীলঙ্কা সফরেই বোঝা গেছে প্রবলভাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন তাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, মাশরাফি-সাকিবদের পরবর্তী কোচ কে হচ্ছেন।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্বটা সামলেছেন। কিন্তু সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি। ত্রিদেশীয় সিরিজ, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সব ক্ষেত্রেই হতাশ করেছে লাল-সবুজের দল। বাংলাদেশকে খোয়াতে হয়েছে তিন সিরিজের তিনটিই।
সদ্য সমাপ্ত এই সিরিজের ব্যর্থতায় একজন পেশাদার কোচের অভাব ভালোভাবেই অনুধাবন করেছে বাংলাদেশ। অবশ্য কোচ বাছাই করার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আবেদনপত্রে পেয়েছিল বড়সড় বেশ কিছু নাম। ফিল সিমন্স, রিচার্ড পাইবাসরা ইন্টারভিউ দিয়ে গেলেও বিসিবি আগ্রহ দেখায়নি তাঁদের প্রতি। এরই মধ্যে অন্য জায়গায় দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। এখন শোনা যাচ্ছে, সাবেক ভারতীয় কোচ গ্যারি কারস্টেনের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বিসিবি। তালিকায় আছে আরো কিছু নাম। এর আগে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব।
দলের এ অবস্থায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান চাইছেন, শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই নতুন কোচের হাতে দায়িত্ব দিতে, ‘দ্রুতই একজন কোচ আনতে হবে আমাদের। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। হাতে আছে সাত-আট দিন বাকি। এ কারণেই কাজটা কঠিন। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
আসছে মার্চে শ্রীলঙ্কার মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ভারতকেও। মাত্রই হাথুরুসিংহের দল একদম নাকানি-চুবানি খাইয়ে নিজের দেশে ফিরে গেছে। সঙ্গে আছে ‘অজেয়’ ভারত। তাই এই সিরিজের আগেই কোচটা ভীষণ প্রয়োজন সাকিবদের।