শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ-
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের
সাইটালিয়া,বরমী ইউনিয়নের পোষাইদ,মাওনা ইউনিয়নের
শিমলাপাড়া বদনি ভাঙ্গ,রাজাবাড়ীসহ উপজেলার বিভিন্ন বন থেকে
রাতের আঁধারে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান গজারি গাছ
পাচার হওয়ায় উজাড় হচ্ছে বন। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ।
হুমকীর মুখে পড়ছে বন্য প্রানী। লোকবল আর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের
অভাবে কর্তৃপক্ষ অসহায় হয়ে পড়ছে।
এই বনে গজারি, সেগুন, চাপালিশ, কড়ই, রক্তন, জারুল, অর্জন,
আওয়াল, বাঁশ-বেতসহ ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ আর নানান
বন্যপ্রানী রয়েছে। বাহিরে থেকে এই ঘন বনের সূন্দর্য্য মন কাড়ে
দর্শনাথীদের। কিন্তু বনের ভীতরে গেলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
দাঁড়ানো মূল্যবান গাছের ফাঁকে ফাঁকে মোথা পড়ে আছে
কয়েক শত। প্রতিদিন দিন-দুপুরে জ্বালানী হিসেবে গাছ কেটে
কাঠ নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। প্রতিদিন রাতের আধাঁরে আস্ত গাছ
উধাও হচ্ছে বন থেকে। ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক এই ঘন বন।
গাছ চুরি বন্ধে পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সচেতন মহল সোচ্ছার
থাকলেও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের।
গহীন এই বন রক্ষায় স্থানীয় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি সহ বনের
উপর নির্ভশীলদের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে
গিয়ে দেখা যায়,শিমলাপাড়া বিট আওতাধীন উপজেরার গাজীপুর
ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি এন আর বি প্রজেক্ট সংলগ্ন গজারি গাছ
কেটে ফেলে রেখেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,কাঠ
ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ও তার সহ পার্টনার আব্দুছ ছাত্তার বেপারী
রাতের আঁধারে গজারী গাছ কেটে গাড়ি বুঝাই করে পাচার করে।
এবং নিজমাওনা বাজারে শাহআরমের স’মিলে গজারি গাছ কাটা
হয়,পরে ওই কাঠ ঘরের খাপ কুর ধর্না হিসাবে বাজারে বিক্রি করা
হয়। আবুল কাশেম ও আব্দুছ ছাত্তার বেপারী জানান,এসব গজারি
গাছ অনেক দুর থেকে আনা হয়েছে,এই বনের গাছ
কাটিনাই,অনেক দুর থেকে এনে এই বনে রাখা হয়েছে। এবিষয়ে
শিমলা পাড়া বিট অফিসার জানে।
শিমলাপাড়া বিট কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান,
বাঁশবাড়ি কাশেম কে অনেকবার বলার পরও থেমে নেই,অনেকবার
কাশেমের গাছ আটক করাও হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত যানবাহন,আর
প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় এই বিশাল বন সঠিকভাবে পাহাড়া
দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বন রক্ষায় গাছ চুরি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ
নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।ৃ