হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় নৌকা
দোলানোর অভিযোগে আশিক ইকবাল(১৫) নামে এক স্কুল
ছাত্রকে মরধর করেছে ইউপি সদস্য মফিজার রহমান। গুরত্বর
আহত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে হাতীবান্ধা হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায়
মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।
শনিবার সকালে উপজেলা সিন্দুর্না এলাকায় নৌকার
মধ্যে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে ইউপি সদস্য মফিজার।
আহত স্কুল ছাত্র আশিক ইকবাল হাতীবান্ধা উপজেলার
চর সিন্দুর্না গ্রামের নূর আমিনের পুত্র। সে লোকমান
হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
আর অভিযুক্ত মফিজার রহমান উপজেলার সিন্দুর্না
ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য।
রবিবার দুপুরে হাতীবান্ধা হাসপাতালে গিয়ে দেখা
যায়, মারধরে ব্যাথায় হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে
কাতরাচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী ইকবাল আশিক। এ সময় তার
সাথে কথা হলে সে জানায়, শনিবার প্রতিদিনের ন্যায়
নৌকাযোগে স্কুল আসছিলাম। নদীর মাঝখানে কে বা
কারা নৌকা দোলায়। এ সময় নৌকা দোলানোর
অজুহাতে ইউপি সদস্য মফিজার আমার মাথায় কিল ঘুষি
মারতে শুরু করে। আর তার প্রতিবেশী রহমান ডাক্তার
আমাকে পিছন থেকে ধরে রাখে। আমি আর কিছু বলতে
পারি না। চোঁখ খুলে দেখি হাসপাতালে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের
কর্মরত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিনিটি মেডিকেল
কর্মকর্তা ধিমাণ রায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে আশিক
ইকবাল নামে একজন ভর্তি রয়েছে। সে মাথায় আঘাত
পেয়েছে। সুস্থ্য হতে একটু সময় লাগবে’’।
এ বিষয়ে লোকমান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক আনিছুর রহমান বাবুল বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা
শুনেছি। তার পরিবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে
আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো’’।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন,
‘‘আশিক নৌকা দুলিয়েছে তাই তাকে একটু মারধর
করেছি। কিন্তু সে যে অপরাধ করেছে সে হিসেবে তার
শাস্তি কম হয়েছে’’।
এ বিষয়ে সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নূরল আমিন
বলেন, আমি বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। তবে কোন
অবস্থাতেই জনপ্রতিনিধি কারো গাঁয়ে হাত তুলতে
পারে না’’।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শামীম হাসান সরদার জানান, ‘‘এ ঘটনায় এখন
পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে’’।