অনলাইন ডেস্কঃ-
জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী যুবকের পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে হামলার পর গণপিটুনির শিকার যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় জানানো হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মুক্তমঞ্চে হামলার ঘটনার ঘটে। সেখানে তিনি ‘ইইই ফেস্টিভ্যালে’ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি উৎসব) উপস্থিত ছিলেন। উৎসবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। হামলার মুহূর্তে চলছিল একটি রোবোটিকস প্রতিযোগিতা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী তার ক্যামেরায় তোলা কয়েকটি ছবি সাংবাদিকদের দিয়েছেন।
ছবিতে দেখা যায়, মঞ্চে রাখা চেয়ারে অন্যদের সঙ্গে বসে আছেন ড. জাফর ইকবাল। তাঁর বাঁ ও ডান পাশে অনেকেই আছেন; সামনে ও পেছনেও শিক্ষার্থীরা আছেন। সামনে একদল শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায়। এটাই ড. জাফর ইকবাল দেখছিলেন। তাঁর ঠিক পেছনেই কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর মধ্যেই কালো গেঞ্জি পরা এক যুবককে দেখা যায়। গণপিটুনির পর হামলাকারীর যে ছবি পাওয়া গেছে তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায় তার চেহারা।
ছবিতে আরো দেখা যায়, ড. জাফর ইকবালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা পেছনে অবস্থান নিয়েছেন।
হামলায় আহত ড. জাফর ইকবালকে নেওয়া হয় এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে নেওয়া হচ্ছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জ্যোতির্ময় সরকার তপু জানান, যুবককে চিকিৎসা দিয়ে তার কাছ থেকে পরিচয় ও হামলার তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
হামলায় বাধা দিতে গেলে আহত হন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম।
হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর প্রতিবাদে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও রাজধানীর শাহবাগের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।