শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হবে বৃহস্পতিবার

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ- মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় তার প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এরপর ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সামাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার দুই ছেলে দেশের বাইরে রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বুধবার দেশে ফিরবেন। এরপর বৃহস্পতিবার তার প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা ও মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, একটু পর (মঙ্গলবার বিকেলে) তার মরদেহ বারিধারা পিংক সিটির বাসায় নেওয়া হবে। সেখান  গোসল করিয়ে মরদেহ আবারও ল্যাব এইডের হিমঘরে এনে রাখা হবে।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সেসময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় ব্যতিক্রমী একজন শিল্পী ছিলেন। দামি জিনিসের পরিবর্তে চারপাশে পাওয়া ডাল, পাতা, কাঠের টুকরা, শেকড়, গাছের গুড়িকে তুলে এনে শিল্পে রূপ দিতেন। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।

একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451