রামগঞ্জ প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর গ্রামের আবাসন এলাকার
বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন তার মেয়ে দিলরুবা আক্তার প্রতারণায় ওই গ্রামের
আমেরিকা প্রবাসি নূরুল আলম বাবুলের ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলেকে ভূয়া
এভিডেভিটে বয়স বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকার দেন মোহরে বিয়েতে বাধ্য করার
অভিযোগ পাওয়া গেছে।সৃষ্ট ঘটনায় মহিবুলের পিতা নূরুল আলম বাবুল মঙ্গলবার
দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে দিলরুবা আক্তার ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেনের
বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ সংবাদে দেলোয়ার হোসেন তার স্ব-পরিবারে
আত্মগোপন চলে যান।
অভিযোগ সহ স্থানীয় সূত্র জানান লামচর গ্রামের হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেন ও তার
মেয়ে দিলরুবা আক্তার একই গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী নূরুল আলম বাবুলের
ছেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মহিবুল ইসলাম প্রতারণার
মাধ্যমে বিয়ে হয়। মহিবুলের জন্মনিবন্ধন, পার্সপোর্ট ও আমেরিকায়
সিটিজেনকার্ডে তার বয়স (১৪) বছর। মেয়ে দিলরুবা আক্তারের জন্ম নিবন্ধণে তার
বয়স (২৫) বছর। দিলরুবা আক্তার ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন প্রতারণায় লক্ষ্মীপুর
জর্জকোটের আইনজীবি এডভোকেট নজরুল ইসলামের মাধ্যমে এভিডেভিটে
মহিবুলের বয়স ১৪ এর স্থলে বাড়িয়ে ২১ বছর এবং দিলরুবা বয়স ২৫ বছর থেকে
কমিয়ে ১৮ বছর করেন।
নূরুল আলম বাবুল জানান তার ছেলে ৮ম শ্রেণীতে লেখা পড়ার পাশাপাশি কোরানে
হাফেজও। আমেরিকা প্রবাসী হওয়ার কারণে মহিবুল তার সাথে আমেরিকাও যাওয়া
আসা করতেন। ছেলে গ্রীণকার্ড পাওয়ার সংবাদ পেয়ে পাশ্ববতী দেলোয়ার হোসেন
তার সাথে আমেরিকা যাওয়ার লোভে ছেলের সাথে প্রতারণা করছেন। কর্মহীন ছেলের
বিয়েতে ৫০লাখ টাকা কাবিন মেনে নেওয়া মুশকিল।
দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান তার মেয়ে দিলরুবা আক্তার মিডিয়াতে
কাজ করেন। বিয়েতে ৫০ লাখ টাকা কাবিন হলেও ছেলের বাবার কাছ থেকে কখনও
টাকা দাবী করবোনা। আইনজীবি নজরুল ইসলাম জানান তিনি ছেলেকে
মেয়ে,মেয়েকে ছেলে মনে করে এভিডেভিটে ভূল করার কথা স্বীকার করেন। উপজেলা
নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান এভিডেভিটে বিয়ে বৈধতা
নেই। প্রতারণাকারীদেরকে শাস্তি দেওয়ার আশ্বস্থ করেন।