হাসান মাহমুদ,
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
অবশেষে বিয়ের পিরিতে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী
উপজেলায় টানা ৪ দিন ধরে বিয়ের দাবিতে ফারুক(২৩) নামে
এক প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত প্রেমিকা মাহমুদা আক্তার
ময়না (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কালীস্থান
বাজার এলাকার ওবায়দুলের ছেলে ফারুকের সঙ্গে ৮ লাখ টাকা
দেনমোহরনায় বিয়ে হয় ময়নার। এর আগে গত রোববার ভোরে
বিয়ের দাবিতে ফারুকের বাড়িতে অনশন শুরু করে ময়না।
ময়না উপজেলার ওই এলাকার ওবায়েদুলের প্রতিবেশী মোস্তফা
কামালের মেয়ে। এছাড়া সে হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের
ছাত্রী।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিনের প্রেম ছিলো ফারুক ও ময়নার।
এরই মধ্যে রোববার(৪মার্চ) সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ময়নাকে ডেকে
নিয়ে যায় ফারুখ। বিয়ে করার কথা বলে ময়নার সাথে ফারুক রাত
কাটায়। পরে ভোর রাতে বাড়ির লোকজন ওই দুজনকে এক সাথে
ঘরের ভিতর দেখতে পায় এবং তাৎক্ষনিক ফারুককে বাড়ি থেকে
সরিয়ে অন্যত্রে পাঠিয়ে দেন। পরে ময়নাকে বাড়ি থেকে সরানোর
চেষ্টা করলে ময়না যায়নি। উলটো সে বিয়ে ছাড়া ওই বাড়ি
ছাড়বে না বলে ঘোষনা দিয়ে অনশন শুরু করেন। পরে তাকে
ক্ষতিপূরন দিতে চাইলেও ময়না রাজি হননি। বরং আত্মহত্মার
করবে বলে জানালে তারা ময়নাকে সরানো থেকে পিছিয়ে আসে।
এদিকে এ ঘটনায় ময়নার বাবা আদিতমারী থানায় একটি
অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনার সত্যতা জানতে রাতেই
ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এছাড়া এ ঘটনায় পূর্ব-পশ্চিমে “বিয়ের দাবিতে
প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন” শিরোনামে একটি
সচিত্র প্রতিবেদন দেখে তদন্তে মাঠে নামে থানা পুলিশ।
অবশেষে পুলিশী হস্তক্ষেপে ফারুক নিজ বাড়িতে এলে এবং
৮ লাখ টাকা দেন মোহরনায় ময়নাকে মুসলিম পারিবারিক
আইনে বিবাহ করে অনশন ভাঙ্গান।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায়
জানান, ঘটনার তদন্ত করে ফারুকের সাথে কথা বলা হয়। বিয়েতে
তার মত থাকলেও পরিবারের চাপে করতে সাহস করেনি। অবশেষে তার
পরিবারকে বুঝিয়ে সকলের সম্মতিতে সমাধান করা হয়।