হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার রুবেল মিয়া মারা গেছে। এঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক এসআই ও এএসআইসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলি ভর্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত ডাকাত সর্দার রুবেল মিয়া (৩৮) টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার লক্ষিনদার গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে। ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ভোররাতে গ্রেফতারকৃত ডাকাত রুবেল মিয়াকে নিয়ে ডিবি ও থানা পুলিশ আশুলিয়ার টংগাবাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। সেখানে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে রুবেলকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় এবং ডাকাত রুবেল মিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া ডাকাতদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ডাকাত রুবেল মিয়াকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা.ফেরদৌসি আক্তার বলেন নিহত ডাকাতের বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত এবং ডিবি পুলিশের এস আই তানভীর মোর্শেদ, এ এস আই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল নয়ন আহমেদসহ চারজন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।