হেলাল শেখ :-
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার জামগড়ার মোল্লা বাড়ির নুরুল হক মোল্লা,একটি দালাল চক্রের কাছ থেকে গাড়ি কিনে বিপাকে পড়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী। গাড়ি চুরির অভিযোগে র্যাব এর অভিযানে (সিলেট চ-১১-০৫৮৯) নাম্বার একটি গাড়ি জব্দ করার পর এ ব্যাপারে তথ্য ফাঁস হয়।
শনিবার ১০/০৩/২০১৮ ইং দুপুরে এ বিষয়ে র্যাব জানায়, উক্ত নাম্বারের গাড়িটি একাধিকবার বিক্রি হয়েছে, শেষে খোকন মেম্বার নামের একজন দালাল এর মাধ্যমে প্রায় দুই বছর আগে ৫ লাখ ৫০,০০০, হাজার টাকার বিনিময়ে পুরাতন এই একটি মাইক্রোবাস ক্রয় করেন স্থানীয় মৃত আবু সাইদ মোল্লার ছেলে মোঃ নরুল হক মোল্লা। এ বিষয়ে (ক ঞ-০৯০৩৫৪০) নং একশত টাকার ষ্ট্যা¤েপ গত ১৫/০৬/২০১৬ ইং একটি চুক্তি নামা হয়। নুরুল হক বলেন, আমি নগদ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে বিপাকে পড়েছি। কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় রোডে গাড়ি বেড় করতে পারছি না, বিষয়টি সাংবাদিক,পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জেনে গেছে, যে কোনো সময় বিপদ হতে পারে। সিলেট শহরে কাগজপত্র ঠিক করার বাবদ প্রায় এক লাখ টাকা খরচ নিয়েছে অন্য এক প্রতারক চক্র। তারা বলছে, এ ব্যাপারে জেল হাজত ও কারাগারে যেতে হয়েছে ওই দালাল প্রতারক চক্রকে। র্যাব বলছে, বিষয়টি রহস্যজনক ও প্রতারণামূলক হতে পারে।
এ বিষয়ে শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরবাঘা এলাকার মৃত রেজাউল করিম বেপারীর ছেলে, দালাল চক্রের মোঃ খোকন বেপারী বলেন, নুরুল হক মোল্লার কাছে আমি গাড়িটি বিক্রি করেছি, ৭০ হাজার টাকা বাকী থাকায় কাগজপত্র এনে দিতে পারিনি, কারণ আমি যে ব্যক্তির মাধ্যমে গাড়িটি কিনেছি তারা আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা পাবে, তাই টাকা না দেয়ায় কাগজপত্র সেখানে রয়েছে। অন্যদিকে নুরুল হক এর বাড়িতে চোরাই গাড়ি আছে বলে র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়,
উক্ত গাড়িটি উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা। র্যাব জানায়, এ সময় তদন্ত করার জন্য নুরুল হককে র্যাবের হেফাজতে রাখা হয়, এবং খোকন বেপারীর না পেয়ে তার ছেলেকেও র্যাবের হেফাজতে নেয়া হলেও অল্প সময়ের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অনেকেই বলছেন, র্যাব ১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী একজন সৎ অফিসার, সঠিক তদন্ত করে তিনি এই গাড়ির সমস্যা সমাধান করতে পারে, তদন্ত শেষে হয়ত দেখা যাবে টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে উক্ত জটিলতার সৃষ্টি করেছে নুরুল হক মোল্লা ও খোকন বেপারীর।
উক্ত ব্যাপারে শুক্রবার ও শনিবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, উক্ত (সিলেট-চ-১১-০৫৮৯)নং গাড়িটি প্রায় ২ বছর ধরে মোল্লা বাড়ি নুরুল হক মোল্লার বাড়িতে রয়েছে, কিন্তু রোডে নামাতে পারেন না ওই গাড়িটি, হয়ত চুরি বা ছিনতাইকৃত হতে পারে গাড়িটি এমনই সন্দেহ বেশিরভাগ স্থানীয় লোকজনের। এরপর গত শুক্রবার রাতে (র্যাব ১০ ঢাকা) এর অভিযান শুরু হয় আশুলিয়ার জামগড়ার মোল্লা বাড়ি এলাকায়।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে (র্যাব ১০) কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, উক্ত অভিযান পরিচালনা করে তদন্ত শেষে জানা গেছে, খোকন মেম্বার এর কাছ থেকে যে মাক্রোবাসটি নুরুল হক ক্রয় করেছেন, ৫ লাখ ৫০,০০০/ হাজার টাকার বিনিময়ে। ওই গাড়ির মালিক নারায়ণগঞ্জের শরিফুল ইসলাম। সিলেটের নাম্বার হলেও মালিকের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। এই অভিযান নিয়ে অনেকেই অনেককিছু ধারণা করেছেন,কিন্তু মূলত ঘটনাটি হলো গাড়ি চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে র্যাবের এই অভিযান হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওই র্যাব কর্মকর্তা।