মোঃ অালী হাসান: পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিঃ মিঃ পূর্ব দিকে আওলাই ইউনিয়ন ১৪ বছর আগের
অপহরণের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত সেই এলাকা আবারো অপহরণের আতঙ্ক। অপহৃত ১ জন উদ্ধারের সংবাদ
পেয়ে সরজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা অপহরণের স্বীকার দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার পুড়ইল কুদলিয়া গ্রামের আবু
তাহেরের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২৪) জানান। সে প্রতিদিনের ন্যায় ডুগডুগি মাঠে ছেলো ঘরে ঘুমিয়েছিল। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ৬-৭ জন লোক তাকে
ডেকে বাহীরে বের এনে জোর করে তার হাত, মুখ, চোখ বেঁধে হেঁটে নিয়ে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে পাঁচবিবি উপজেলার ঝিনাইল গ্রামে একটি পানি সেচের মটর ঘরে জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে পা, হাত রশি দিয়ে বেঁধে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। কিছু সময় পর ভোর হলে সিরাজুল তার আশে পাশে কেউ নেই বুঝতে পেরে অনেক
কষ্টে কৌশলে হাত খোলে। পরে শরীরের বাঁধনগুলি খুলে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় ঘরের টিনের চালার টিন উপরে ফেলে লাফিয়ে বাহিরে ঝাঁফ দিয়ে দৌড়াতে
থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ঝিনাইল গ্রামের
লোকজনের সাথে দেখাহলে সে অপহরণের স্বীকার তা জানাই এবং তাকে বাঁচার জন্য সহায়তা করতে কাকুতি-
মিনতি করে। স্থানীয় লোকজন তখন ছাতিনালী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রাজ্জাকের জিম্মায় দেয়। পরে ইউ,পি চেয়ারম্যানের নিকট সব ঘটনা খুলে বললে চেয়ারম্যান ঝিনাইল গ্রামের জিয়াউল রহমানের মটর ঘরের পাহারাদার একই গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের পুত্র
(২৪) কে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় পাঁচবিবি থানার এ,এস,আই শাহ্ আলমসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতে মনোয়ার হোসনে জানান, একই গ্রামের সানা মিঞা (৪০) ও আলম (৩০) জোর করে মনোয়ারকে ভয় দেখিয়ে তার মটর ঘরে সিরাজুলকে ঢুকিয়ে দেই। এলাকাবাসী আরো জানান ইতি পূর্বে এই অপহরণ চক্র
আওলাই ইউনিয়নকে অপহরণের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত করেছিল। তারা আবারো সক্রিয় হচ্ছে। তারা সক্রিয় হলে এলাকায় আবারো অপহরণ ভয়াবহ রূপ নিতে
পারে। থানা পুলিশ মনোয়ার হোসেন ও মটর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র সামুরাই, ছুড়ি, রশি সহ থানায় নিয়ে আসে। মনোয়ারের জবানবন্ধী নিয়ে তাকে ছেড়ে
দিয়েছে পুলিশ। অপহরণের স্বীকার সিরাজুলের আত্মীয়-স্বজন জনান ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অপহরণের মামলা হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় ঘটনাটি উপস্থাপন হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল আলম, থানার অফিসার্স ইনচার্জ ফরিদ হোসেনকে এলাকায় পুলিশের টহল জোরদাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন।