সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রের ছুরির
আঘাতে নুর মোহাম্মদ ( ৪৮) নামের এক পিতা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা
লড়ছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল
কলেজে স্থান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নে বন্দবেড়
গ্রামে এঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নুর মোহাম্মদ (৪৮) বিদেশ থেকে
প্রায় ৩ মাস আগে বাড়িতে আসে। তার কাছ থেকে লেখা-পড়ার
খরচের জন্য টাকা চায় তিন ছেলে । টাকা না দিয়ে প্রায় দিনেই
তাদেরকে নির্যাতন করেন আহত নুর মোহাম্মদ। বুধবার সকালে
ছোট পুত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আতিকুর রহমানকে লেখা-পড়া
করার পাশাপাশি আবাদি জমি ও পারিবারিক কাজর জন্য চাপ দেন
তিনি। ছেলে আতিকুর রহমান ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষর্থী জমিতে না
যাওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং ছেলেকে
লাঠি দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করেন এবং ছেলেকে হত্যার জন্য
ছুরি বের করেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পিতার হাতে
থাকা ছুরি কেড়ে নিয়ে পেটে আঘাত করলে ভুড়ি বের হয়ে গেলে
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত নুর মোহাম্মদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. অনুপ
কুমার বিশ্বাস বলেন, তার পেটে ছুরির আঘাত করায় ভুড়ি বেড় হয়
এবং অনেক রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
রের্ফাড করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এঘটনায়
কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।