হেলাল শেখঃ
২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির পোরকরা গ্রামে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদের মুখপাত্র রুফায়দাহ পন্নী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইলেক্টনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে রুফায়দাহ পন্নী বলেন, “হেযবুত তওহীদ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৫ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ আন্দোলন ধর্মব্যবসা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি ও স্বার্থোদ্ধার, জঙ্গিবাদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে গণসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৫ থেকেই আমাদের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী। তারা ওয়াজে, খোতবায়, হাটে বাজারে সর্বত্র অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে আমাদের উপর হামলা করতে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে আমরা বহু জায়গায় বহুবার আক্রান্ত হয়েছি। আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণ একটাই, আমরা ধর্মের দোহাই দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদসহ ধর্মের নামে প্রচলিত প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছি।” দুইজন ব্যক্তি কে যারা খুন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার দাবীতে দেশব্যাপী হেযবুত তাওহীদের সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের দাবী অবিলম্বে এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও আহত হেজবুত তাওহীদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে উক্ত সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৭টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের একটাই দাবি হত্যাকারী দোষীদের বিচার করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত (বাঁ থেকে) হেজবুত তওহীদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মো. রিয়াদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, মুখপাত্র রুফায়দাহ পন্নী, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মো. আলী হোসেন। তারা জানান, সারা দেশে তাদের সংগঠন মানব কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।