নিজস্ব প্রতিবেদক হেলাল শেখ ঃ-
ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় সামাদ ভূঁইয়ার বাড়িতে আজাহার আলী নামের
এক ব্যক্তির জানালার সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে সামাদ ভূঁইয়ার একটি বাড়িতে টাঙ্গাইল
জেলার গোপালপুর থানার হাদুরিয়া ইউনিয়নের চককাশিয়ানি গ্রামের ১নং
ওয়ার্ডের আজাহার আলী নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী শাহিনা (৪০) ও দুই মেয়েকে নিয়ে
ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তার মেয়ে আল্পনা খাতুনের বিয়ে হওয়ার পর আমেনা
খাতুন (১৯) বিয়ে ঠিক হয় তার এলাকায় কিন্তু যৌতুকের ৮০,০০০/- টাকা না দিতে
পারায় মেয়েটির বিয়ে ভেঙ্গে যায় কয়েক দিন আগে, এ নিয়ে খুব চিন্তিত ও খোবে
আজাহার (৪২) তার ভাড়া বাসায় জানালার সাথে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে
বলে তার পরিবারের দাবি। এলাকাবাসী অনেকেই বলছেন, যৌতুক নামের অভিসাপ
আজাহারের জীবন কেড়ে নিলো, যৌতুকের টাকা না দিতে পারায়ই তার মৃত্যুর কাল
হয়ে দাড়িয়েছে। তাই সে ফাঁসি নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। এতে অনেকেই দুঃখ
প্রকাশ করেছেন।
উক্ত ব্যাপারে মুত্যু আজাহারের স্ত্রী শাহিনা (৪০) বলেন, রাতের ২ টার দিকে তার স্বামী
কাজ করে বাসায় ফেরেন খাওয়া দাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন, আজ ভোর ৫ টার
দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি আজাহার জানালার সাথে ঝুলছে, পরে যখন বুঝতে পারি
সে নিয়েছে তখন আমি চিকিৎকার দিলে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা এসে দেখেন
আমার স্বামী মারা গেছেন। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়। এব্যাপারে
আজাহারের ছোট মেয়ে আমিনা (১৯) জানান, কয়েকদিন আগে আমার বিয়ে
ভেঙ্গেছে যৌতুকে টাকা দিতে না পারায়, পরিবারের আর্থিক বিভিন্নার সমস্যার
কারণে আমার বাবাকে হারালাম বলে কান্না জনিত অবস্থায় এসব কথা বলছিলেন
তিনি। এ ব্যাপারে অনেকেই বলছিলেন আজাহারের মৃত্যু রহস্যজনক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জামগড়া ওই বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা
গেছে জানালার সাথে আজাহারের গলায় ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় লাশ ঝুলছে। এ বিষয়ে
জানতে চাইলে টাঙ্গাইল এর নূর মোহাম্মদ জানান, আজাহার খুব ভালো মানুষ, তার
স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন এই বাড়িতে
হঠাৎ করে সে এই ভাবে ফাঁসি নিয়ে মারা যাবে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। স্থানীয়
লোকজন আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে এ বিষয়ে তদন্ত করেন।
তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই মোঃ শহিদুল ইসলাম পি.পি.এম. বলেন, ধারণা করা
হচ্ছে আজাহার ফাঁসি নিয়েই আত্মহত্যা করেছেন। এখনো তদন্ত চলছে, লাশ ময়না
তদন্ত করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে এই পুলিশ
কর্মকর্তা জানান।