সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:- বয়সের ভারে শরীর
নুয়ে পড়েছে মজিরন বেওয়ার। চোখে ছানি। পরনে নেই তেমন কোনো
বস্ত্র। শক্তি নেই শরীরে। লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয় তার।এক মুঠো ভাতের জন্য
শেষ বয়সে তার দুঃখের শেষ নেই। তার পরেও অসুস্থ শরীর নিয়ে চলেন এবাড়ি-
ওবাড়ি ভিক্ষার জন্য। ভিক্ষার ঝুলিতে যা সংগ্রহ হয় তা নিয়ে খুঁড়িয়ে
খুঁড়িয়ে চলছে তার জীবন। তার ভাষায়, ভিক্ষা সংগ্রহ হলে মিলে ভাত, না
হলে থাকতে হয় উপোস! সরকার হতদরিদ্র অসহায় লোকজনদের বয়স্কভাতা
কিংবা বিধবাভাতা দিলেও জনপ্রতিনিধিদের নজরে না আসায় ৭৫ বছর
বয়সী মজিরনের ভাগ্যে জোটেনি ভাতা।
মজিরন বেওয়ার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা
ইউনিয়নের কান্তাপাড়া চরগোরকমন্ডপ গ্রামে। তার স্বামীর নাম কুদ্দুস
আলী। তার ৪ মেয়ে। মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে মেয়েদের বিয়ে
দিয়েছেন তিনি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় ৬ বছর
আগে মজিরন বেওয়ার স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর ভিটায় বড় মেয়ে
স্বামী পরিত্যক্ত আলতাফুন বেগমকে নিয়ে কোনোরকমে বাস করছেন
তিনি।
মজিরন বেওয়া বলেন, বৃদ্ধ বয়সে প্রতিদিন হাঁটাচলা করার শক্তি টুকুও
নেই। দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ভোটের সময় আমার কদর হয়। ভোট পার
হলে আর খোঁজ রাখে না কেউ।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ
জানান, এমন অসহায় লোকজনের কথা তাকে কেউ জানাননি। তবে চলতি
বছরে ৪৫২ বয়স্কভাতা, ১৯৬ জনের বিধবাভাতা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
সেখানে তার ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।