জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী ॥ “মা বাবা আমাকে ক্ষমা করো, তোদের(তোমাদের) কে
ছেড়ে চলে গেলাম আমার ভালোবাসার কারনে ! আমার ভালোবাসার নাম কামরুল হাসান
লালন । বাড়ি,মুকুলের ডাঙ্গা ভাটিয়া পাড়া । ইতি, তোমাদের মেয়ে -ফজলী আক্তার রিয়া
মনি” ।
প্রেমে প্রতারিত হয়ে এমনি সুইসাইড নোট লিখে রেখে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা
করেছে এক কলেজ পড়–য়া ছাত্রী । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(৩১শে মার্চ) বিকেল ৫টার
সময় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন বালাপাড়া ভাটিয়া পাড়ার
গ্রামে । নিহত ছাত্রী ফজলী আক্তার (১৭) একই এলাকার ফজল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলার
পশ্চিম ছাতনাই মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী । পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে
আজ রবিবার ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে ।
নিহতের মা হালিমা খাতুন জানান,শনিবার মেয়ে ফজলীকে সাথে নিয়ে তিনি মরিচ
ক্ষেতে মরিচ ছিড়ছিলেন । বিকেলে তাকে ক্ষেতে রেখেই তার মেয়ে নামাজ পড়বার কথা বলে
নিজ বাড়িতে এসে সবার অগোচরে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন । বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক ভুইয়া ।
তবে মেয়েটির সুইসাইড নোট ও মুঠোফোনের কল রেকর্ড সুত্রে জানা গেছে,
একই ইউনিয়নের মুকুলের ডাঙ্গার বিবাহিত প্রতারক কামরুল হাসান লালন নিজ বিয়ের
কথা গোপন রেখে দীর্ঘদিন আগে ওই ছাত্রীটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ।
এক পর্যায়ে ছাত্রীটি ওই প্রতারকের স্ত্রী সন্তান রয়েছে জানতে পেরে ঘটনার সত্যতা তার
কাছে জানতে চাইলে
সে বিষয়টি বারংবার এড়িয়ে যায় । সেখান থেকে প্রেমে প্রতারিত হবার পর ছাত্রীটি
হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নিতে বাধ্য হয়েছেন, যা স্থানীয়দেরও অভিযোগ ।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়না
তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি।
অভিযোগ অথবা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।