শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সৌরভের অর্থের অভাবের চিকিৎসা হচ্ছে না। আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি’র সভাপতি হেলাল শেখকে প্রাণঢালা অভিনন্দন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানি ধামরাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া 

বাংলাদেশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৮
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ-

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশগুলির অন্যতম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম খেত্রপাল সিং গত সপ্তাহে চারদিনের সফরকালে বাসসকে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে গেছে।

ড. পুনম খেত্রপাল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমার এলাকার শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের মালিকানা যেকোন আঞ্চলিক দেশ থেকে ভালো।’

কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক উদ্যোগকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় সাফল্যের নেপথ্যে প্রধান কারণ উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, এটি আশার কথা যে, কমিউনিটি তাদের নিজেদের লোকদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের মানুষের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ কর্মসূচি এবং আমি যেখানেই যাই সেখানে এই কর্মসূচিকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরি।’

জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। জনগণের অংশগ্রহণই কমিউনিটি ক্লিনিকের মূল বিষয়। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করে।

দুর্গম এলাকার মানুষও এখন তাদের বাড়ি থেকে আধ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে একই ছাদের নিচে মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা, পারিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা পেতে পারে।

খেত্রপাল সিং বলেন, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য এই অঞ্চলের অন্য যেকোন দেশের চেয়ে ভাল এবং মাতৃমৃত্যুর হারও এই অঞ্চলে ডব্লিউএইচও’র বেসলাইন এর তুলনায় কম। বাংলাদেশের টিকাদান ব্যবস্থাও বেশ ভাল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সংক্রামক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়।

ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ এই প্রতিশ্রুতির বহি:প্রকাশ।

স্বাস্থ্য খাতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে সিং আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও সক্ষম হবে।

সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি, ভিটামিন-এ সাপ্লিমেন্টেশনে সাফল্য অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে।

ল্যান্সেট মেডিকেল জার্নাল সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার আকর্ষনীয় সাফল্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, এই ব্যবস্থাটি দারিদ্র্য সংক্রামিত সংক্রমণ, পুষ্টি এবং মাতৃত্ব সম্পর্কিত রোগগুলোর প্রথম প্রজন্মকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451