নিজস্ব প্রতিবেদক হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বেকারী, মিষ্টির কারখানা, হোটেলে ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার তৈরি করে বাজারজাত করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা, তারা এসব খাদ্যপণ্যগুলো বিভিন্ন দোকানপাটে অবাধে বিক্রি করছে, আর এসব ভেজাল খাবার খাওয়ার পর মানুষের নানারকম রোগ হচ্ছে বলে অনেকেই জানান। জানা গেছে, গভীর রাতেই বেশিরভাগ মিষ্টির কারখানায় ও বেকারীগুলোতে ভেজাল, নিম্নমানের খাবার তৈরি করা হয়। সেই সাথে ভাঙ্গা, পচাঁ ও গন্ধ ডিম দিয়ে কেক তৈরি করে অনেক কারখানায়। কিছু হোটেলে এক,দুই দিন আগের খাবারও গরম করে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। গত ৭ দিনে সরেজমিনে তথ্যে জানা গেছে, আশুলিয়ার জামগড়ার বাগবাড়ি রোডে দুইটি বড় বেকারী, বটতলায় ধামরাই সুইট, বেরুন এলাকার শাহিন নুর সুইট, লিজা বেকারী, কাঠালতলা মুসলিম বেকারীসহ ভিআইপিএলাকা নবীনগর, পল্লী বিদ্যুৎ, ও বাইপাইল, জিরানী বাজার, ভাদাইল বাজার, পুরাতন আশুলিয়া, জিরাবো বাজার, কাঠগড়া বাজার, নসিংহপুর, নিচিন্তাপুর, বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। গত কাল মঙ্গলবার গভীর রাতে কিছু এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের করে বেশি লাভের আশায় মানুষকে ঠোকিয়ে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে অনেকেই। এ বিষয়ে বেরুণ এলাকার শাহিন নুর সুইট এর মালিক মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দোকান পরিস্কার রেখেছি, কিছু মাটা ধরতেই সে বলেন, এগুলো ডেটফেল, প্রশ্ন করা হলো আপনি ডেটফেল খাদ্য দোকানে রাখছেন কেন? জবাবে বলেন, আমার কারখানায়ই তৈরি তাই রেখে দিয়েছি। ওই মিষ্টির কারখানায় দেখা গেলো, পচাঁবাসি ভেজাল ও নিম্নমানের অনেক মিষ্টিজাত খাবার। কিছু পণ্যের স্টিকার ব্যবহার করছে যাহার কোনো টেডমাক নাই। সাভারের নয়ন (৩০) নামের একজন বলেন, আমি ২ কেজি মিষ্টি ক্রয় করেছি, ৫০০/টাকা দিয়ে, ওই বক্সটির ওজন হয় ২৪৬ গ্রাম! অন্য একজন ফরিদ মিয়া বলেন, মাছ, অনেক খাদ্যপণ্য ওজনে কম দিয়ে বিক্রি করছে অনেক ব্যবসায়ী, এ যেন দেখার কেউ নেই। অন্যদিকে আশুলিয়ার বাগবাড়ির নাজমুল, হোসেন বলেন, হাট-বাজারে দোকানসহ যে কোনো হোটেল, বা বেকারীতে পঁচা ডিম দিয়ে কেক, বিস্কুট তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ভেজাল ও নিম্নমানের নকল খাদ্য খাওয়ার পর অনেক মানুষের নানারকম রোগ হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি, তথ্য পেলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।