ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী ॥ নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের
সীমান্তপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী সেই শুকুর আলী
(৪৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(৩রা এপ্রিল) বিকালে আদালতের মাধ্যমে ধর্ষক শুকরআলীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ
করা হয়।
ধর্ষনের ঘটনায় পলাতক থাকা শুকুর আলী কে ঘটনার একমাস পর মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম
জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শিংঝাড় গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে
নীলফামারী থানা পুলিশ।সে নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের কেরাণীপাড়া
গ্রামের মৃত জুনায়েদ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী পুলিশ সুপারের সম্মেলণ কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষক
শুকুর আলীকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করেন পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শিংঝাড় গ্রামে বিজিবি
ক্যাম্পের পাশের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী শুকুর
আলীকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান,
সহকারী পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, সদর থানার ওসি (তদন্ত) এরশাদ,এসআই
হারিছুর রহমান সুজন।
উল্লেখঃ যে নীলফামারী জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব সহদেব বড়গাছা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলতি বছরের ১
মার্চ দুপুরে। শিশুটিকে পথে একা পেয়ে একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে ট্রাক্টর
চালক শুকুর আলী। এরপর শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে। সন্ধ্যায় তার দিনমজুর মা
কাজ থেকে ফিরে ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় নীলফামারী সদর
আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরদিন দিন ২ই মার্চ শুকুর আলীকে
আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।