হেলাল শেখ, আশুলিয়া থেকে : আশুলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার প্রধান আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের কাছে তারা পলাতক। এছাড়া মামলা তুলে নিতে বাদী পক্ষকে হত্যার হুমকির বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছে ভুক্তভোগির দুই ভাই। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে না পারায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবার।আহত ব্যবসায়ী হাবিবের বড় ভাই বাবুল শরীফ বলেন, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ধরে জামগড়া এলাকায় ইট , বালুর ব্যবসায় করে আসছিল। সে প্রেক্ষিতে এলাকার চিহ্ন সন্ত্রাসীরা তার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করে আসে। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এঘটনায় আশুলিয়া থানায় গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে কোর্ট পিটিশন আশুলিয়া থানায় মামলাটি (মামলা নং-৭৬) দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা তুলে নিতে অভিযুক্তরা পরিবারের উপর প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। অথচ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। পরিবারের কথা চিন্তা করে থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরী করা হলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ। এদিকে ছোট ভাইয়ের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) মোমিনুল হক বলেন, মামলা তদন্ত চলছে। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ ডায়েরীর বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে জানান, ‘‘ভুক্তভোগি পরিবারকে বলা হয়েছে যদি কেউ হুমকি দেয় বা আসামীদের দেখতে পান আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে, আমি তাদের আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিব”।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর অপরাধ) সাইদুর রহমান সাইদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে তদন্ত অবস্থার পর্যবেক্ষন করে দেখছি।
উল্লেখ্য,গত ফ্রেব্রুয়ারীতে শাকিল ও নিবির নামের স্থানীয় চিহ্নিত সস্ত্রাসী হাবিবের কাছে মুঠোফোনে পাচঁ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। কিন্তু হাবিব দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসে। পরে গত মার্চের ৬ তারিখে রাতে কাজের কথা বলে দিপু ও মিরাজ নামের দুই ব্যক্তি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় জামগড়া মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে দিপু, শাকিল, নিবির, মিরাজ, রাজু ,নোমানসহ আরও ৫/৬ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।