হেলাল শেখ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া থানার ভাদাইল এলাকার শেখ মোহাব্বত আলীর বাড়ির নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফরনে নারীসহ আহত হয়েছেন ৭ জন।
রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় তলা বাড়ির নিচ তলায় বিকট শব্দে বিস্ফরিত হয়ে ঘরের ইটপাটকেল চূর্ণ বিচূর্ণ হলে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে লোকজন উপস্থিত হয়, এই ঘটনায় আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নারী-পুরুষ সহ প্রায় ৭ জন ব্যাক্তি। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা হলেন, ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আলমগীর হোসেন (৪০), তার স্ত্রী আফরোজা (৩৫), তাদের ছেলে আলআমীন (১৩), এবং পাশের রুমের ভাড়াটিয়া রাজ্জাক (৪৫), তার স্ত্রী আলেয়া (৩৫) তাদের মেয়ে রাতিয়া (২০), রাবিয়া (১৬)।
এব্যাপারে বাড়ির মালিক শেখ মোহাম্মত আলীর স্ত্রীর বেগম আয়শা আক্তার জানান, আমার এই ২তলা বাড়িটি ৮ বছর আগে নির্মাণ করেছি, সমস্যা হওয়ার কথা না এবং এই বিস্ফরনের ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারি না। আমার আর একটি বাড়িতে বসবাস করি। এখানে ম্যানেজার রাখা আছে উনিই দেখাশুনা করেন। তার নাম শাহিন।
এই বিষয়ে বাড়ির ম্যানেজার শাহিন মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঐ রুমের ভাড়াটিয়ারা আমার জানামতে ভাল মানুষ। দুই রুমের দুই পরিবারের স্বামী স্ত্রী চার জনেই শিল্পকারখানায় চাকুরী করেন। হঠাৎ করে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিকট শব্দে আমি লাফিয়ে উঠি। বাহিরে বেড়িয়ে এসে দেখতে পাই রুমের দেয়ালের ইটগুলো সহ ভাড়াটিয়ারা মাটিতে পড়ে আতœচিৎকার করছে। এসময়ে আশেপাশের লোকজন সহ আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এব্যাপারে স্থানীয় লোকজন বলছেন, বিষয়টি রহস্যজনক, কিভাবে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে কেউ এব্যাপারে পরিস্কার ভাবে বলতে পারছে না। বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করলে মূল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে জনগনের ধারণা।
উক্ত ঘটনাস্থলে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, উক্ত ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে ?, কেন ঘটেছে ? প্রাথমিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসছেন, তারা স্পটি ঘুরে দেখছেন, কিসের কারনে বিস্ফরনের ঘটনাটি ঘটেছে ওনারাই বলতে পারবেন। ঘটনাস্থলে আরো পরিদর্শন করেছেন ধামসোনা ইউনিয়নের, (ইউপি) সদস্য মোঃ আবু ছাদেক ভূইয়া।
এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের পুরাতন পাইপের ছিদ্র থেকে গ্যাস বের হওয়ার কারনে কেউ হয়তো বিড়ি সিগারেট ধরানোর সময় অগ্নি সংযোগে বিস্ফরণ ঘটতে পারে।