বোরো মৌসুমে নয় লাখ টন চাল এবং দেড় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এবার ২৬ টাকা দরে ধান এবং ৩৮ টাকা দরে চাল সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আতপ চালের সংগ্রহ মূল্য হবে ৩৭ টাকা।
আগামী ২ মে শুরু হয়ে সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ধান ও চাল উৎপাদনে কেজিপ্রতি কৃষকের জন্য মুনাফা ধরা হয়েছে দুই টাকা।
রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে খাদ্য মজুদ আছে ১২ লাখ ৯৮ হাজার টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর বোরো চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ টন।
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি বোরো ধান উৎপাদনে ২৪ টাকা ও চাল উৎপাদনে ৩৬ টাকা খরচ হবে। গত বছর ধানের উৎপাদন খরচ ছিল কেজিপ্রতি ২২ টাকা এবং চালের উৎপাদন খরচ ছিল কেজিপ্রতি ৩১ টাকা। এবার নয় লাখ টন চালের মধ্যে এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে এ বছর প্রতি কেজি সেদ্ধ বোরো চালের উৎপাদন খরচ ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর সঙ্গে কৃষকদের দুই টাকা মুনাফা দিয়ে ৩৮ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ বোরো চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ মজুদ খাদ্যশস্য (ধান ও চাল) রয়েছে। এর পরিমাণ ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ টন। বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে কোনো সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এত ধান-চাল উৎপাদন হচ্ছে তার পরও বাজারে চালের দাম বেশি কেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম স্থিতিশীল আছে। সব সময় ভোক্তার স্বার্থ দেখা উচিত নয়, কৃষকের স্বার্থও দেখতে হবে। কৃষকের স্বার্থ চিন্তা না করলে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষক উৎপাদনবিমুখ হবেন।’
তিনি জানান, এ মুহূর্তে ঢাকায় প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৪২ টাকা, রাজশাহীতে ৩৭ টাকা, রংপুরে ৩৭ টাকা, চট্টগ্রামে ৩৭ টাকা, খুলনায় ৪০ টাকা, বরিশালে ৩৮ টাকা। তবে বাজারে চিকন চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।