বখতিয়ার ঈবনে জীবন,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার শহরের
প্রধান রাস্তাটির পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপর জলাবদ্ধতা ও খাল-খন্দে ভরে যাওয়ায়
চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ড্রেনেজ
ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলছে সড়ক বিভাগ। অপর দিকে সড়কের এ অবস্থার
দায়ভার সড়ক বিভাগের উপর চাপিয়ে শহরে মাইকিং করে পৌর কতৃপক্ষ। সড়ক বিভাগ বলছে ড্রেন
নির্মানের দায়িত্ব পৌরসভার আবার পৌর কতৃপক্ষ বলছে ড্রেন নির্মানের সামর্থ আমাদের
নেই। তাহলে এ দায় কার?
এই প্রশ্নটি এখন সবার মুখে মুখে। দু দপ্তরের ঠেলা-ঠেলির মাশুল গুনছে সাধারন মানুষ। উপজেলা
প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ জেলা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তারাই এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত
চলাচল করলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন দৃষ্টি নেই ।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা
পাশাপাশি ডোমার থেকে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা যাওয়ার
একমাত্র সড়ক। শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া ডোমার হাইস্কুল থেকে ডোমার ফিলিং ষ্টেশন পর্যন্ত
দেবীগঞ্জ যাওয়ার প্রধান সড়কটির বর্তমানে করুন অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কটি দীর্ঘদিন
যাবত সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের সম্পুন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। গত শুকনো মৌসুমে সড়ক বিভাগ
সড়কটিতে শুধুমাত্র ইট বিছিয়ে গর্তগুলো উঁচু করে সংস্কার করে। এতে করে সমস্যা
সমাধানের চেয়ে সমস্যা আরো বেশী হয়েছে। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের নিচু
জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটি চলাচলে সম্পুর্ন অযোগ্য হয়ে
পড়ে। পথচারী এবং ছোট ছোট যানবাহন গুলো বিকল্প রাস্তায় চলাচল করলেও বড় বড় যানবাহন গুলোর
চলাচলে আরো বেশী করে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে সড়ক বিভাগ বলছে
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কিংবা সড়কের পাশ দিয়ে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায়
সড়ক সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। সড়ক সংস্কার করলেও তা টিকবে না। তাই সড়কের পাশে জরুরী ভাবে
ড্রেন নির্মান করা দরকার।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোর্শেদ বিন তরুন জানান,শহরের রাস্তাটির
ব্যাপারে পৌর কতৃপক্ষ উদাসিন। এমনকি মাসিক মিটিংয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হয় না। ৩নং
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন জানান,পৌরসভার কোন বরাদ্দ না থাকায় ড্রেন
নির্মান সম্ভব হচ্ছে না।