এম,এ , আজম , ঢাকা ঃ
দিনভর তীব্র রোদ আর গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন রাজধানীবাসী। সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। ঝড়ের তাণ্ডবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের গাছপালা ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ভোগে পড়েন রাজধানীবাসী। নগরীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। দিন শেষে ঘরে ফেরার পথে বেকায়দায় পড়তে হয় কর্মজীবীদের। সন্ধ্যার ঝড়-বৃষ্টি ঘণ্টা খানেক ধরে চলার পর আবার শুরু হয় রাত ১০টার পর।
আকস্মিক ঝড়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। অনেক এলাকায় ঝড় শেষ হওয়ার ঘন্টা খানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও কিছু এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত অন্ধকারে ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাছ ভেঙে সড়কে পড়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকা ছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা,বরিশাল এবং পটুয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে একই বেগে বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অন্য এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, আগামীকালও যদি এই ধরনের বজ্রমেঘমালা সৃষ্টি হয় তাহলে কালও এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টির কারণে গণপরিবহন সংকটে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। সাধারণ মানুষকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে রিক্সা কিংবা সিএনজিতে ফিরতে হচ্ছে বাসায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে বৃষ্টির বাগড়া বেশ ঝামেলাতেই ফেলেছে সবাইকে।
ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।