বাংলার প্রতিদিন ডেস্কঃ-
রাজধানীতে এবার বেপরোয়া বাসের চাকায় চাপা পড়ে পা হারালেন প্রাইভেটকার চালক।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় ঢালে গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে রাসেল সরকার (২৩) নামের প্রাইভেটকার চালকের বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাস ও তার চালককে আটক করেছে পুলিশ।
আহত রাসেল সরকারের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকায়। তাঁর বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। রাসেল বর্তমানে রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় থাকেন। তিনি একটি রেন্ট-এ-কার প্রতিষ্ঠানে গাড়ি চালাতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল প্রাইভেটকার চালাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে বাসটি ধাক্কা দেয়, তিনি প্রতিবাদ জানাতে বাসটি থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাসটি তার উপর দিয়েই চালিয়ে দেয়। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই বাবুল মিয়া বলেন, রাসেল যাত্রীসহ সকালে কেরানীগঞ্জে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের ঢালে পৌঁছালে পেছন থেকে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। তখন সে কার থামিয়ে বাসটিকে থামাতে যায়। বাস না থামিয়ে প্রথমে রাসেলকে ধাক্কা দেয়, পরে তার বাম পায়ের উপর চাপা দিয়ে চলে যায়। তার বাম পা কাটা পড়েছে। রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান জানান, বাসটিকে ধাওয়া করে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে আটক করা হয়। ঘাতক গ্রিনলাইন বাস ও এর চালক কবির হোসেন শাহবাগ থানায় আটক রয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ছাত্র কলেজছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এরপর ২০ এপ্রিল রাতে বনানীতে বিআরটিসির একটি বাস রোজিনা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। তখন তিনি পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।