অনলাইন ডেস্কঃ-
রাজধানীর বাংলামোটর থেকে বিএনপির ১৭ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ আটক নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে ‘গোপন বৈঠক’ করছিলেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন নেতারা।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, আজ রোববার বিকেলের দিকে ওই নেতাদের আটক করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ার থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির ১৭ নেতাকে আটক করা হয়। মাসুদুর রহমান জানান, নেতারা ‘সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক’ করছিলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইউএনবিকে জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি শামসুল হুদা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, সহসভাপতি ইউনুস মৃধা, গোলাম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম জোবায়ের এজাজ, আলমগীর হোসেন, ফারুকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটুসহ অন্য নেতাদের আটক করা হয়।
রিজভী জানান, নেতারা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক করা কোনো অপরাধ নয়। বৈঠক করার জন্য পুলিশ আমাদের নেতাদের আটক করতে পারে না। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
এদিকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কন্টকমুক্ত করার মাধ্যমে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের লাগাতার গ্রেপ্তার ও নির্যাতন নিপীড়নকে সর্বব্যাপী করে তুলেছে সরকার। এ নির্যাতন ক্রমাগত তীব্র থেকে তীব্রতর করা হচ্ছে। সরকারের নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণে এটি সুস্পষ্ট যে, তারা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আর এজন্য গণতন্ত্রকে নিঃশ্বেষ করে ফেলছে। জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সরকার অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে।’
নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।