বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ-
নরসিংদীতে পলাশে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমান আলী (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশারটেক এলাকায় এ কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, নিহত ইমান আলী নরসিংদীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রক। বন্দুকযুদ্ধের পর ইমান আলীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব ১১ এর কম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিনের ভাষ্যমতে, ইমান আলী ঘোড়াশালের খালিশারটেক এলাকায় তার বাড়ির পাশে ইয়াবার চালান আদান প্রদান করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইমান আলীর সঙ্গে তার দুই সহযোগী ছিলেন।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ইমান আলী গুলিবিদ্ধ হন। আর বাকি দুজন পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমান আলীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব ১১ এর কম্পানি কমান্ডার বলেন, ইমান আলীর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়া কান্দি গ্রামে। তার মায়ের নাম মমতাজ বেগম। বাবার নাম মিলন মিয়া (সৎ বাবা)। তবে তার আসল বাবার নাম জানা যায়নি। তার মা মমতাজ বেগমের একাধিক বিয়ে হওয়ার সুবাধে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল খালিশকাটেক এলাকার মিলন মিয়ার (সৎ বাবা) বাড়িতেও তিনি দীর্ঘদিন অবস্থান করেছিলেন। তিনি নাগরিয়াকান্দি ও খালিশকাটেক দুই এলাকারই পরিচয় দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তাঁর মা মমতাজ বেগম ওরফে বুড়ি খালিশকাটেক এলাকায় থাকেন। তিনিও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর ইমান আলী তাঁর স্ত্রী পারভীন বেগমকে নিয়ে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়িও নাগরিয়াকান্দি এলাকায়।
কম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ইমান আলী শুধু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না, তিনি জেলার মাদক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এক ডজন মামলা রয়েছে। তার পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।