গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা ডিগ্রি কলেজটি সরকারিকরণের পর অধ্যক্ষ পদে একজন চাকুরিরত থাকা সত্বেও সরকারিভাবে আরো একজন অধ্যক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে যোগদান করানো হয়েছে।
কলেজটি বেসরকারী থাকাকালীন ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক মো. রেজাউল করিম ২৬ বছর চাকুরির মধ্যে বিগত ২০০৩ সালের ২২ মে অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হয়ে অদ্যাবধি ৪র্থ গ্রেডে বেতনভাতাদী উত্তোলন করছেন। ইতিমধ্যে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ গত ১১ জুলাই ওই কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। অথচ কর্মরত অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে তাকে দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি। অথবা তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি না দিয়েই সরকার আরো একজন অধ্যক্ষ যোগদান করিয়েছেন। এতে করে কলেজটি প্রশাসনিক জটিলতার শিকার হয়ে পড়েছে।
সদ্য যোগদানরত অধ্যক্ষ আলী আশরাফ জানান, পরিপত্র জারি হওয়ার পর বিধিমোতাবেক তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকবেন এবং পূর্বের অধ্যক্ষ বিভাগীয় লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
অথচ বর্তমানে নবাগত অধ্যক্ষের অনুপ¯ি’তিতে পূর্বের অধ্যক্ষই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে যা”েছন। বিশেস করে এখন উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব বলে আর কিছুই থাকলো না। এতে করে ওই কলেজে ৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারী হিসেবে প্রশাসনিক জটিলতায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। এখন প্রশ্ন হ”েছ- প্রতিষ্ঠান ও অধ্যক্ষ সরকারি কিন্তু অন্যান্য সমস্ত শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারী হয়ে আর কতদিন ঝুলে থাকবেন?
উল্লেখ্য, বিগত ১৯৬৯ সালে তীব্র ছাত্র-জনতা গণ আন্দোলনের সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রক্টর ড. সামসুজ্জোহা পাকবাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর গুরুদাসপুর থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাঁর স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার লক্ষ্যে গুরুদাসপুরে বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছর পর চলতি বছরের ১২ মে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র প্রকাশের মাধ্যমে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। #