বাংলার প্রতিদিন ঃ
ঈদে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যায় কোটি মানুষ। এর একটি বড় অংশ ঘরে ফেরে সড়ক পথে।
আর এ সুযোগে মহাসড়কে চলে শতশত ফিটনেস-বিহীন বাস। ঘটে প্রাণহানি। হাইওয়ে পুলিশে বলছে মহাসড়কে অনুপযুক্ত একটি গাড়িও যাতে চলতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে তাদের।
আর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দায় মেনে বলেছে তারাও নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে ফিটনেস-বিহীন বাস কেউ মহাসড়কে না চালায়।
যাত্রীচাপ সামাল দিতে ঈদে বিরতিহীনভাবে চলে বাস। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঈদে মহাসড়কে নামানোর জন্য রাজধানীর শতাধিক ওয়ার্কশপে চলছে লক্কড়-ঝক্কর বাস মেরামত।
জন্মভূমির টানে চেনা মানুষের কাছে ফেরা। ঈদ মানেইতো আপন সান্নিধ্য পেতে আত্মহারা। আর এই খুশি মাঝেমাঝে ম্লান হয় অনাকাঙ্খিত সড়ক দুর্ঘটনায়। যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরে ১২১টি সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান ১৮৬ জন। আর পরের বছর ২০১৭’তে ২০৫টি দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ২৭৪ জনের। দুর্ঘটনার শিকার বাসগুলোর ৬০ ভাগের কোন ফিটনেস ছিলোনা।
বাস মেরাকত করা কর্মীরা জানান, তড়িগড়ি করতেই হবে, কেননা ঈদের গাড়ি ডেলিভারি করতে হবে। এই গাড়ি লং ড্রাইভে যাবে।
অন্য আরকে একজন বলেন, আমার এই গাড়িটি পাঁচদিনের মধ্যে দিতে হবে। কেননা মহাজনরা যত দ্রুতই বের করতে পারবে,ততই মহাজনের লাভ ।
কোন ভাবেই এসব ফিটনেসবিহীন বাস আসন্ন ঈদে মহাসড়কে চলতে দেয়া হবেনা জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশ বলছে অনুমোদনহীন এসব বাস মহাসড়কে দেখলেই সেগুলা জব্দ করা হবে।
হাইওয়ে ডিআইজি আতিকুর রহমান বলেন,’ যদি এই ধরনের গাড়ি রাস্তায় নামলেই গাড়ি ধরা হবে। সেই সঙ্গে ডাপ্মিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এবং কোন অবস্থাতেই এরই রকম জরাজীর্ণ গাড়ি রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না। ‘
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা স্বীকার করে বলছে, তাদের নির্দেশনা রয়েছে যাতে ফিটনেস নেই এমন বাস ঈদে চলতে না পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. রস্তুম আলী খানর বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে গাড়িগুলো রয়েছে, তার চেয়ে বেশি রয়েছে আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এছাড়া এই গুলো সরকারেরও নিয়ন্ত্রণে নেই। ‘
বেহাল সড়ক, যাত্রীর বাড়তি চাপ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ঘটে দুর্ঘটনা। আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে। বিশ্লেষকরা বলছেন যাত্রীদেরও কিছুটা সচেতনতা দরকার যাতে ফিটনেসবিহীন গাড়িতে তারা ঘরে না ফেরে।